লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এই ফলটি খেতে খুব সুস্বাদু। তাছাড়া এর পুষ্টিগুণেরও শেষ নেই। কাঁঠালের বিচি প্রায় সব তরকারির সঙ্গেই মানিয়ে যায়। যে কোনো তরকারির সঙ্গে খেতে খুবই সুস্বাদু। বাচ্চারাও খেতে খুব পছন্দ করে এটি। তাই আজকের আয়োজনে থাকছে কাঁঠালের বিচির কয়েক ধরনের রেসিপি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কাঁঠালের বিচির পাঁচ ধরনের রেসিপি-
কাঁঠালের বিচি ও পাটশাক ভাজা
উপকরণ: পাটশাক দুই আঁটি, পরিষ্কার করা কাঁঠালের বিচি ১০ থেকে ১২টি নারকেল বাটা দুই টেবিল চামচ, চিংড়ি মাছ দুই টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি দুই টেবিল চামচ, রসুন কুচি এক চা চামচ, কাঁচা মরিচ (ফালি) চার থেকে পাঁচটি, বোম্বাই মরিচ কুচি অর্ধেক, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো, তেল প্রয়োজন মতো।
প্রণালী: কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করে পাতলা পাতলা করে কাটুন। পাটশাক ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কুচি করে নিন। কড়াইয়ে তেল দিন। এবার একে একে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, চিংড়ি মাছ, নারকেল বাটা, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে কাঁঠালের বিচি ও আধা কাপ পানি দিন। বিচি সিদ্ধ হলে পাটশাক ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়ুন। সব মশলা মিশে ভাজা ভাজা হলে বোম্বাই মরিচ দিয়ে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
মুরগির মাংসে কাঁঠাল বিচি
উপকরণ: মুরগির মাংস এক কেজি, কাঁঠালের বিচি (আস্ত) ১০ থেকে ১২টি, নারকেলের দুধ দুই কাপ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, রসুন বাটা এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, গলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, দারুচিনি দুই টুকরা, এলাচ তিন থেকে চারটি, তেজপাতা দুইটি, গরম মশলার গুঁড়া এক চা চামচ, কাঁচা মরিচ তিন থেকে চারটি, লবণ স্বাদ মতো এবং তেল প্রয়োজন মতো।
প্রণালী: প্রথমে একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হলে এতে রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা বাটা, লবণ দিয়ে একটু কষিয়ে মাংস ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। অল্প অল্প করে নারকেলের দুধ দিয়ে কষিয়ে নিয়ে আধা কাপ গরম পানি ও বাকি দুধ দিয়ে ঢেকে দিন। কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ হলে গরম মশলার গুঁড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।
কাঁঠালের বিচি ভর্তা
উপকরণ: কাঁঠালের বিচি এক কাপ, শুকনা মরিচ টালা তিনটি পেঁয়াজ কুচি এক টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, রসুন কুচি এক কোয়া ও সরিষার তেল দুই চা চামচ।
প্রণালী: কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করে আধা কাপ পানি দিয়ে প্রেশারকুকারে সিদ্ধ করে নিন। তিন থেকে চারটি হুইসেল দিলে নামিয়ে শিলপাটায় বেটে ওপরের সব উপকরণ দিয়ে সঙ্গে সরিষার তেল দিয়ে হাতে মেখে পরিবেশন করুন কাঁঠালের বিচি ভর্তা।
চ্যাপা শুঁটকিতে কাঁঠালের বিচি ভুনা
উপকরণ: চ্যাপা শুঁটকি ৫০ গ্রাম, কাঁঠালের বিচি এক কাপ, আলু (মাঝারি) একটি, নারকেল বাটা এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, রসুন বাটা এক চা চামচ, রসুন কুচি এক চা চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, তেজপাতা দুইটি, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ চার থেকে পাঁচটি, শুকনা মরিচ দুইটি, লবণ স্বাদ মতো, তেল প্রয়োজন মতো।
প্রণালী: কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করে সিদ্ধ করে টুকরা করে নিন। আলু ছোট ছোট টুকরা করে ধুয়ে নিন। চ্যাপা শুঁটকি তাওয়ায় টেলে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে বেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, হলুদ-মরিচের গুঁড়া দিয়ে কষয়ে নিন। মশলা কষানো হলে তাতে শুঁটকি, কাঁঠালের বিচি, আলু, নারকেল বাটা, আদা বাটা, তেজপাতা ও লবণ দিয়ে আবারও একটু কষান। কষনো হলে আধা কাপ পানি দিন। বেশি ঝাল খেতে চাইলে কাঁচা মরিচ ফালি করে দিন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির বিজ্ঞাপনের মডেল নিয়ে সত্তরের দশকের যা ঘটেছিল
ঝাল কম খেতে চাইলে আস্ত মরিচ দিন। কাঁঠালের বিচি ও আলু মাখামাখা হলে সবশেষে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, শুকনা মরিচ ও তেল দিয়ে ফোড়ন দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।