বিনোদন ডেস্ক : ফেস ব্লাইন্ডনেস বা কারো চেহারা চিনতে পারার অক্ষমতা। রোগটিকে বলা হয় প্রসোপ্যাগনোসিয়া। অনেকের কাছে এটি অপরিচিত হলেও এটি একধরনের স্নায়বিক সমস্যা। এ ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা মানুষের চেহারা চেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
কারো ক্ষেত্রে কেবল মুখ নয়, স্থান কিংবা মুখের সঠিক অঙ্গভঙ্গি চিহ্নিত করতেও দেখা দেয় বিড়ম্বনা। এমনই কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলিউড মুভি ‘ইশক ভিশক’র অভিনেত্রী শেহনাজ ট্রেজারি।
মানুষের মুখ চিনতে অসুবিধা পোহাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। চেষ্টা করছেন কণ্ঠস্বরের সাহায্যে মনে রাখার। অসুস্থ এই অভিনেত্রী নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন।
তার ভাষ্যমতে, ‘আমার প্রসোপ্যাগনোসিয়া ধরা পড়েছে। এখন, আমি বুঝতে পারি কেন আমি কখনই মানুষের মুখ চিনতে পারি না। কেবল মুখ দেখে কাছের অনেককেই চিনে উঠতে পারতাম না, লজ্জা করত, চেষ্টা করতাম তাদের কণ্ঠস্বর মনে রাখার।’
একই সঙ্গে রোগটির লক্ষণ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, প্রসোপ্যাগনোসিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা পরিবার-পরিবার, নিকটবর্তী কাউকেই চিনতে পারেন না। সবার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। অভিনেত্রী নিজেও একই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
তা ছাড়া তিনি দুটি সিনেমা কিংবা টিভি শো চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য বলতে পারেন না যাদের উচ্চতা, গড়ন কিংবা চুলের স্টাইল একই। ২০০৩ সালে শাহিদ কাপুর এবং অমৃতা রাওয়ের সঙ্গে ‘ইশক ভিশক’ সিনেমায় অভিনয় করেন শেহনাজ ট্রেজার।
বর্তমানে যিনি ভ্লগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। প্রতিনিয়তই নিজের ভ্রমণের বিভিন্ন ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে থাকেন শেহনাজ ট্রেজারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।