বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ফোন অনেকদিন ভাল রাখতে চাইলে কিছু নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলা উচিত। তার মধ্যে অন্যতম হল ফোনে সঠিক ভাবে চার্জ দেওয়া। যেমন- অনেকেই ফোন যে কোম্পানির সেই একই সংস্থার চার্জার (Smartphone Charger) ব্যবহার করেন না। সস্তার চার্জার দিয়ে দিনের পর দিন ফোনে চার্জ দেন। অনেকদিন ধরে এটা করতে থাকলে ফোনের ব্যাটারির উপর তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। এর পাশাপাশি ফোন চার্জে বসিয়ে তা ব্যবহার করা যেমন- কথা বলা, মেসেজ করা, ইন্টারনেট চালানো, ভিডিও দেখা, গেম খেলা- এইসবই ফোনের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
এছাড়াও ফোনে চার্জ একদম কমে যাওয়ার পরেও নাগাড়ে তা ব্যবহার করে যাওয়া যেমন ফোনের পক্ষে খারাপ তেমনই ফোনে অত্যধিক পরিমাণে চার্জ দেওয়াও ভাল নয়। অনেকেরই অভ্যাস থাকে প্রায় সারাক্ষণই ফোন চার্জে বসিয়ে রাখা। ফোনে অতিরিক্ত চার্জ হওয়ায় ব্যাটারি দ্রুত খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে ত্যাগ করুন। ফোনে ২০ শতাংশের কম চার্জ থাকা যেমন ঠিক নয়। তেমনই ১০০ শতাংশ চার্জ থাকারও প্রয়োজন নেই। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ চার্জ দিলেই হবে। বরং ফোনে ফুল চার্জ থাকলে তা ব্যাটারির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। অতএব সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
অনেকেই সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে রাখেন, এই অভ্যাস কতটা ডিভাইসের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোন চার্জে বসিয়ে শুতে চলে যাওয়ার স্বভাব অনেকেরই রয়েছে। পরের দিন সকালে ঘুম ভাঙলে হয়তো ফোনের চার্জ বন্ধ করা হয়। হয়তো আপনি ভাবছেন ১০০ শতাংশ চার্জ ফোনে হয়ে গেলে তারপর তো চার্জিং ফিচার অটোম্যাটিক স্টপ বা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যায়। বাস্তবে তা কিন্তু নয়। বরং সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে রাখলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* প্রথমত ফোনে অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার ফলে ডিভাইস গরম হয়ে যাবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে ব্যাটারি। ফোনের ব্যাটারি ফুলে যেতে পারে। খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই। এমনকি অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে ফোনে বিস্ফোরণ পর্যন্ত হতে পারে।
* সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে রাখা মানে ফোনের ব্যাটারিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চার্জ সঞ্চিত হয়। এর ফলে ব্যাটারির মেয়াদ কমতে পারে। দ্রুত নষ্ট হতে পারে আপনার ফোন। তাই সারারাত কোনওভাবেই ফোন চার্জে বসিয়ে রাখা উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।