আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বলিউড সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তির পর পর এর সমর্থনে ও বিরোধিতা করে বক্তব্য দিচ্ছেন অনেকে। সিনেমাটি নিয়ে ভারতের রাজনীতির মাঠও উত্তপ্ত। আলোচিত ছবিটি দেখতে নিষেধ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ সিনেমায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এরইমধ্যে বক্স অফিসে তুমুল ঝড় তুলেছে সিনেমাটি। মাত্র ১৪ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত এই সিনেমা ইতোমধ্যে ২০৭ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে। এর পেছনের অন্যতম কারণ, ভারত সরকারের পক্ষ থেকেই সিনেমাটির সফলতায় সহায়তা করা হচ্ছে। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে এ সিনেমাকে ট্যাক্স ফ্রি করা হয়।
এবার সেই বিষয়টি নিয়েই মুখ খুললেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যা এখন নেটমাধ্যমে ভাইরাল। কেজরিওয়াল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে বলেছেন, ‘ট্যাক্স ফ্রি কেন, সিনেমাটিকে ইউটিউবে ছেড়ে দিন। তাহলে সবাই বিনা খরচেই দেখতে পারবেন।’
দিল্লি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এমনই মন্তব্য করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন বিধানসভায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা দিল্লিতেও ট্যাক্স ফ্রি করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপিবিধায়করা।
এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেরই নিজের বক্তৃতাকালে এমন মন্তব্য করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নাম নিয়ে কিছু মানুষ কোটি কোটি টাকা পকেটে পুড়ছেন। আর আপনাদের তো কেবল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পোস্টার লাগানোর। ট্যাক্স ফ্রি কেন, সিনেমাটিকে ইউটিউবে ছেড়ে দিন। তাহলে সবাই বিনা খরচেই দেখতে পারবেন।’
কেজরিওয়ালের এই মন্তব্য রাতারাতি ছড়িয়ে গেছে ইন্টারনেটে। বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আলোচনা হচ্ছে। তার এই মন্তব্যে নতুন প্রশ্ন উঠেছে – ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ কোন উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে?
বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমায় নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীর থেকে কীভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়িত করা হয়েছিল, কীভাবে পরিবারগুলোর ওপর নিপীড়ন চলেছিল, সেই চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি নির্মাতাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, এই সিনেমার আয় থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে কিনা। প্রশ্নটির কোনো জবাব দেননি নির্মাতা। তাই কেজরিওয়ালের মন্তব্য ভাইরাল করে অনেক ভারতীয়র মত, সিনেমাটিকে ইউটিউবে ছাড়া হবে না নিশ্চিত। কারণ কেবল ব্যবসার উদ্দেশ্যেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ বানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।