ফসল খেয়ে নষ্টের অভিযোগে ৬০ লাখ রেড-বিলড কিউলিয়া পাখি হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেনিয়া। তবে এ কাণ্ড ঘটালে বাস্তুসংস্থান প্রভাবিত হয়ে মারাত্মক ব্পির্যয় সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া যে বিষ স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা শুধু কিউলিয়া পাখিই নয়, বিপন্ন প্রজাতির র্যাপ্টরসহ অন্যান্য পাখির জন্যও মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও কেনিয়া— দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত দ্য হর্ন অফ আফ্রিকা এলাকাটি এমনিতেই খরায় বিধ্বস্ত। এর মধ্যে যা এক-আধটু ফসল হয়, তার বড় অংশ যায় কিউলিয়া পাখির পেটে। দলে দলে পাখি এসে ফসলের ক্ষেতগুলোয় আক্রমণ করে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে আরো বলা হয়, ২ হাজার একর জমির ধানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানোয় পাখিগুলো হত্যার উদ্যোগ নিয়েছে কেনিয়া সরকার। অবশ্য এরই মধ্যে কিউলিয়ার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে ৩০০ একর জমির ধান।
দেশটির খাদ্য ও কৃষি সংক্রান্ত বিভাগ বলছে, একটি কিউলিয়া একাই দিনে দশ গ্রাম শস্য খেতে পারে। কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের মোট ৬০ টন পর্যন্ত ধান যেতে পারে কিউলিয়ার পেটে। কর্তৃপক্ষের হিসাবে ২০২১ সালে পাখির পেটে গিয়েছে ৫ কোটি ডলারের খাদ্যশস্য।
ফেনথিয়ন নামে একটি বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে কিউলিয়া নিধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেনিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মানুষ ছাড়া অন্যান্য পাখি ও পতঙ্গের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। যেহেতু এটি নির্বিচারে সবধরনের পাখিই নিধন করে ফেলতে সক্ষম, তাই অতি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা।
বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয় শাখা নেচার কেনিয়ার কর্মকর্তা পল গ্যাচেরু বলছেন, কিউলিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আগে থেকেই ভেবেচিন্তে দেখে নেয়া উচিত। তা না হলে আখেরে এর কারণে বাস্তু সংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, সেই সঙ্গে পরিবেশ তো দূষিত হবেই।
প্রসঙ্গত, আফ্রিকায় দেড়শ কোটির মতো কিউলিয়া পাখি রয়েছে। এ পরিমাণ পাখির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পরিবেশবান্ধব শিকারী প্রজাতির প্রাণী প্রকৃতিতে নেই।
অসুস্থ শাশুড়ির খেয়াল রাখেন না বৌমারা, তিন ভাই একসঙ্গে ডিভোর্স দিলেন তিন বৌকে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।