কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় সকালের নাস্তায় তেলাপোকা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তোফাজ্জেল হোসেন তাসরীফ নামের এক শিক্ষার্থী সকালের খাবার খেতে গিয়ে খাবারে তেলাপোকা দেখতে পান বলে জানা যায়।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তাসরীফ ক্যাফেটেরিয়ায় সকালের নাস্তায় তেহারি খেতে যান। তখন তাকে দেয়া খাবারে বড় আকৃতির একটি তেলাপোকা দেখতে পান।
তোফাজ্জেল হোসেন তাসরীফ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাফেতে নাস্তা করার জন্য তেহারি অর্ডার করি। তেহারি হাতে পাওয়ার পর আমি তেহারির ভেতরে তেলাপোকা দেখতে পাই। ক্যাফেটেরিয়ার যে কর্মচারী আমাকে তেহারিটা দিয়েছিলো তাকে দেখাই এটা তেলাপোকা কি না? তিনি স্বীকার করলেন যে এটা তেলাপোকা। তারপর কাউন্টারে থাকা ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি। উনি তখন ক্যাফের কিচেন আমাকে দেখায় বললেন এখানে নাকি তেলাপোকার আসার মতো পরিবেশ নেই, তাহলে কীভাবে আসলো?
তিনি আরও বলেন, আমি দেখলাম যে আমার যে খাবারটা পাতিলের শেষের দিকের ছিল। এর আগে অনেকেই খাবারটা খেয়েছে। আর খাবারের তেলাপোকাটা ভাজা ছিল, এর মধ্যে তেলও ছিল। মানে এটা প্রথম থেকেই রান্না করা তেলাপোকা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আরেক শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, তাসরীফ যখন খাবারটা নেয় তখন আমরা চারজন ছিলাম। খাবার নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাসরীফ খাবারে তেলাপোকাটা দেখতে পায়।
তাসরীফকে খাবার সরবরাহ করার দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আব্দুল রাজ্জাক বলেন, যখন তাকে (তাসরীফ) খাবার দিই তখন খাবারে কিছু দেখি নাই। উনি তার হাতে তেলাপোকাটা নিয়ে আমাকে দেখায় যে খাবারে তেলাপোকা।
এ বিষয়ে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার পরিচালক সুমা আহমেদ বলেন, যখন ঘটনাটা ঘটে তখন আমি ক্যাশ কাউন্টারে ছিলাম। ওই মুহূর্তে যেহেতু আমি সেখানে ছিলাম না তাই আমি বলতে পারছি না আসলে তেলাপোকা সার্ভ করা হয়েছে কিনা। আমি এইটুকু এখন চেক করতে পারি কোথা থেকে সমস্যাটা হয়েছে, সার্ভ করার সময় কি তেলাপোকা ছিল কি না? তবে যদি তেলাপোকা থাকতো যিনি সার্ভ করেছে তার চোখে অবশ্যই পড়তো। আর তেলাপোকা নরম জাতীয় প্রাণী, গরম তেলে যখন ছাড়বেন দেখবেন পাখনা যা আছে সব ছড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এখন আপনারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন, তারপর যাচাই বাছাই করেন। আর আমরা প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে কিচেন পরিষ্কার করি। তেলাপোকা থাকার কথা না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের যাতে ভালো খাবার দিতে পারি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য সব কিছু যাচাই বাছাই করে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে আমরা কিছু বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, এর আগেও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পোকামাকড় পাওয়া এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ করেছিল শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।