আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৯ শতাংশ নিয়মিত ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে। পরিসংখ্যান বলছে, স্পেন প্রতি বছর প্রায় ১.৩৬ মিলিয়ন টন খাদ্য এবং পানীয় অপচয় করে যা জনপ্রতি প্রায় ৩১ কিলোগ্রামের সমান। মাথাপিছু যার আর্থিক মূল্য বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৫ হাজার টাকার বেশি। টাকার পরিমাণ চোখ কপালে তোলার মতোই। এই বিপুল খাদ্যের অপচয় আটকাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে করেছে স্পেন সরকার। একটি নতুন আইন পাশ হয়েছে যার নাম ‘ডগি ব্যাগ’।
মঙ্গলবার স্প্যানিশ সরকারের পাস করা নতুন বিলের অধীনে দেশের রেস্তরাঁ এবং বারগুলোর তরফ থেকে তাদের গ্রাহকদের বাড়তি খাবার ফেলে না দিয়ে তা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি করে ব্যাগ দেয়ার কথা হয়েছে। কোনো রেস্তরাঁ বা বার যদি তা না দেয়, সে ক্ষেত্রে ২০০০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
খাদ্যের অপচয় কমাতেই সরকারের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই নিয়ম কঠোরভাবে মানারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। খাবারের অপচয় কমানো ছাড়াও দেশের কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে তার জন্য খুচরা দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদেরও খাদ্যদ্রব্যের দাম কম করতে বলা হয়েছে।
‘ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট’-এর ২০২১ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে সারা বিশ্বে ২০১৯ সালে বিক্রি হওয়া প্রায় ৯৩০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে। গোটা বিশ্বের দোকান, রেস্তরাঁগুলির বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলে দেয়া হয়। যার প্রভাব পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘ লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বর্জ্যপদার্থ থেকে খাবারের পরিমাণ অর্ধেক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।