মরক্কোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দ্রা–তাফিলালেত অঞ্চল এ বছর রেকর্ড পরিমাণ খেজুর উৎপাদনের পথে রয়েছে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং সঠিক সময়ে ফল সংগ্রহের কারণে উৎপাদন ও মান—দুই-ই আগের বছরের তুলনায় অনেক ভালো।

দেশটির এরফুদ এলাকায় জিজ নদীর তীরে অবস্থিত বিস্তীর্ণ খেজুর বাগানগুলোতে ইতোমধ্যেই এক লাখ টনেরও বেশি খেজুর সংগ্রহ করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এ অঞ্চলের মধ্যম তাপমাত্রা ও পূর্ববর্তী মৌসুমের পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত খেজুরের বৃদ্ধি ও পাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকেই বাজারে খেজুরের সরবরাহ বেড়েছে। ভালো ফলনের কারণে তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সংগ্রহ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন। খেজুর পাকার মৌসুমে বাগানজুড়ে এখন কর্মচাঞ্চল্য। সবুজ থেকে সোনালি বা বাদামি রঙে পরিবর্তনের সময় কৃষকেরা হাতে কাঁচি বা দা ব্যবহার করে সাবধানে ফল সংগ্রহ করছেন, যাতে গাছ বা ফলের কোনো ক্ষতি না হয়।
একজন কৃষক বলেন, “সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আমরা খেজুর সংগ্রহে ব্যস্ত থাকি। মাঝহুল, বউফগুস, লখালক ও বউস্লিখ—বিভিন্ন জাতের খেজুর রয়েছে এখানে। সংগ্রহ শেষে মাটে ছড়িয়ে বাছাই ও শুকানোর কাজ করা হয়।”
মরক্কোর কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ মৌসুমে স্থানীয় বাজারে খেজুরের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানির সম্ভাবনা বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে মানসম্মত খেজুর সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মরক্কো সরকার খেজুর চাষে আধুনিক সেচব্যবস্থা ও বীজ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে উৎপাদন আরও বাড়বে এবং রপ্তানি খাতও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোমান্স আর নাটকীয়তায় ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ, একা দেখার মজা অন্যরকম!
অনুকূল আবহাওয়া, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও বাড়তি বাজার চাহিদা—সব মিলিয়ে মরক্কোর খেজুর শিল্প এখন নতুন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



