খামেনির পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদে কে বসবেন

khameni

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আয়াতুল্লা আলি খামেনির পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদে কে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। খামেনির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, সেই জল্পনা আরও বাড়ে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, তেহরান গোপনে তাদের পরবর্তী নেতা বেছে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। আর সেই দৌড়ে সবার প্রথমেই আছেন মোজতবা খামেনি। উত্তরসূরি হিসাবে আয়াতুল্লা খামেনি তার দ্বিতীয় পুত্রকেই বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল!

khameni

বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ৮৫ বছর বয়সী খামেনিই তার মৃত্যুর আগেই পদ ছাড়তে পারেন। জীবিত অবস্থাতেই তিনি উত্তরসূরি হিসাবে তার ছেলেকে ইরানের সর্বোচ্চ পদে দেখতে চাইছেন। আর এই নতুন নেতা বাছাইয়ের কাজ নিজের হাতেই রেখেছেন খামেনিই। তার নির্দেশে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল ৬০ জন সদস্যের বিশেষ পরিষদ। সেখানে মোজতবার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মত উঠে আসে। তবে, শেষ পর্যন্ত ‘সর্বসম্মত ভাবে’ মোজতবাকেই পরবর্তী নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।

কেন এত গোপনীয়তা? অনেকের মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ইরানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। সেই পরিস্থিতিতে নতুন নেতার নাম প্রকাশ্যে এলে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে। কারণ, বছর পঞ্চান্নের মোজতবাকে নিয়ে ইরানের সব পক্ষ সন্তুষ্ট নয়। প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা দেন না তিনি। শোনা যায়, গত দু’বছর ধরে গোপনেই নাকি নিজেকে দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে, অন্তরালে থেকেও ইরানের রাজনীতিতে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

সাভারে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় বনগাঁও ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট তথা কট্টরপন্থী নেতা ইব্রাহিম রইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর থেকেই মোজতবাকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। সর্বোচ্চ নেতা খামেনির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন রইসি। তাঁর মৃত্যুর পর ইরানের শীর্ষ নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রথম নামই ছিল মোজতবার। বর্তমানে খামেনির দফতরের কাজ বেশির ভাগই দেখাশোনা করেন তিনি।