টলিউডের তারকা দম্পতি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ট্রল, বিতর্ক যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় নোংরা ভাষায় আক্রমণের শিকার হন তারা। এবার কাঞ্চন মল্লিকের মাকে নিয়ে ‘নোংরা’ ভাষায় মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন এক নারী; যা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
শ্রীময়ী চট্টরাজের একটি পোস্টে বিদিশা মুখার্জি নামে একজন মন্তব্য করেন, “তোর বর একটা খা** ছেলে।” এ মন্তব্য শ্রীময়ীর নজর এড়ায়নি। জবাবে এই অভিনেত্রী লেখেন, “একদম আপনার বরের মতো। নিজের বর থাকতে আপনি অন্যের বরকে কেন গালি দিচ্ছেন বলুন তো? আমার বরকে নিজের বেডরুমে চেয়েছিলেন না কি? আমার বর নিশ্চয়ই অ্যালাউ করেনি, তাই এত জ্বালা!”
পরে শ্রীময়ী চট্টরাজ বিদিশা নামে ওই নারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন, “চরম কিছু না হলে সাধারণত কোনো বিষয়ে এতটা রিঅ্যাক্ট করি না। অনেকেই আমাদের পোস্টে এসে মজার সব মন্তব্য করেন, আমরা সেগুলো দেখে হাসি কিংবা এড়িয়ে যাই। তবে এবার বাধ্য হলাম মুখ খুলতে। কারণ অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে এই মহিলা নিজেকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন! পেশায় নিজেকে রূপটান শিল্পী হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু উনি কেমন শিল্পী আমার জানা নেই। অন্য কাউকে কীভাবে সুন্দর করে তুলবেন, নিজের মন মানসিকতাই তো নোংরা।”
বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। ক্ষুব্ধ অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক কলকাতার উত্তরপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “আমার স্বর্গীয় মা কী অপরাধ করেছেন যে, এইরকম নোংরা ন্যাক্কারজনক মন্তব্য ধেয়ে আসবে। এই নিগ্রহের প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তরপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছি।”
প্রথমে সাইবার ক্রাইমে ই-মেইল মারফত অভিযোগ জানান কাঞ্চন। পরবর্তীতে জানতে পারেন যে, নারী এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন, তিনিও উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। পেশায় রূপচর্চাশিল্পী। কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “এটাও তো এক ধরনের নিগ্রহ। দিনের পর দিন চলে আসছে। আর এড়িয়ে যাওয়া নয়, এবার প্রতিবাদ হোক।”
মামলার খবর বিদিশা নামে ওই নারীর কানে পৌঁছেছে। ফলে শ্রীময়ীর ফেসবুকে পোস্টে ক্ষমা চেয়ে লেখেন, “ম্যাম, সরি কালকের মন্তব্যের জন্য। আমার ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করবেন প্লিজ। আর ভুল হবে না।” তবে মন গলেনি শ্রীময়ীর। বরং প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।