জুমবাংলা ডেস্ক : বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে খিরার ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। বর্তমানে এখানকার উৎপাদিত খিরা দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে এখানাকার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশত টন খিরা ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলায় ব্যাপক পরিমানে খিরার আবাদ হয়েছে। এইসব উপজেলার উৎপাদিত খিরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশত টন খিরা দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উৎপাদিত খিরা ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ জেলায় ৬৬৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াশ উপজেলায় রয়েছে ৪৩৯ হেক্টর। ফলন বেশি হওয়ায় জেলার ১৫টি স্থানে খিরার হাট বসেছে। তাড়াশ উপজেলার দিঘড়িয়া গ্রামের কৃষক ফজর আলী বলেন, এবছর ২৫ শতাংশ জমিতে খিরার চাষ করেছি। বাজারে খিরা ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় খিরার বাম্পার ফলন পেয়েছি।
উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষক আক্কাস আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আড়াই বিঘা জমিতে খিরার চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ১০০ মণ থেকে বেশি ফলন পেয়েছি। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ খিরা ৯০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি।
উল্লাপাড়ার আড়তদার ফজলুল করিম বলেন, এবছর খিরার ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে খিরার দরও ভালো। কৃষকরা খিরা বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।
শাওমির কাছে হার মানবে ডিএইচএল ক্যামেরাও, আসছে নতুন স্মার্টফোন
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, এবছর খিরা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে। আর বাজারদর ভালো থাকায় উৎপাদিত খিরা বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বেশি ফলন পেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।