খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া দুই ট্রাক বিনামূল্যের পাঠ্যবই উদ্ধার

Book

জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। অন্যবারের মতো শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ও হয়নি। সব শিক্ষার্থীও সব বই পায়নি। যারা পেয়েছে তারাও বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেয়েছে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও বছরের শেষ দিন পর্যন্ত ছাপা হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পাঠানোও হয়নি।

Book

সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে যাবে। ওই দিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তবে খোলা বাজারে বইয়ের অভাব নেই। রাজধানীর নীলক্ষেত বাংলাবাজারসহ সারাদেশের বিভিন্ন বইয়ের মার্কেটে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বিতরণের বই। বই না পেয়ে শিক্ষার্থীরাও কিনতে বাধ্য হচ্ছে সেইসব বই।

সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে এক অভিযানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বিতরণের বই খোলাবাজারে বিক্রি ও মজুতকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সেই সঙ্গে তাদের কাছে রক্ষিত দুই ট্রাক বই জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

ইলন মাস্কের নতুন প্রেমিকা কে এই শিভন জিলিস

এদিকে সবার হাতে বই পৌঁছানোর বিষয়ে এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃ দরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্র প্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে এনসিটিবির দতায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।