জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক থেকে দেড় মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে টানা খরার কবলে পড়েছে উপজেলাবাসী। এলাকার খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। মাঠ ফেটে চৌচির। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে উঠছে না পানি।
জানা গেছে, বৈশাখ মাসে পানির স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। উঁচু এলাকাগুলোতে পানির সংকট আরও ভয়াবহ। ফলে ওই এলাকাগুলোতে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে গোসল, খাবার পানি এবং শ্যালোমেশিন ও সেচ পাম্পের পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় পানি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির পুরুষ সদস্যরা আশপাশের পুকুর কিংবা অন্য কোথাও গোসল সেরে নারীদের জন্য বালতিতে ভরে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। খাবার ও রান্নার কাজের জন্য পানি সংগ্রহ করতে ছুটতে হচ্ছে আশপাশের গভীর নলকূপ কিংবা সেচ পাম্পে।
উপজেলার নওদাবস শেখপাড়া এলাকার শিক্ষক আব্দুর রহমান শেখ জানান, ২২৫ ফুট গভীর টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না। প্রয়োজনের তাগিদে প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে পানি নিতে হয়। টিউবওয়েলের পাশাপাশি তার সেচ পাম্পেরও একই অবস্থা।
উপজেলার কুরুষাফেরুষা এলাকার সুচিত্রা রানী রায় জানান, গোসল করতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে গিয়ে। দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
সমস্ত সীমা অতিক্রম করলো এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না
উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ‘বৈশাখ মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে এ উপজেলায় ৯২টি গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) বসানো হয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলেই পানির সংকট পুরোপুরি কেটে যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।