আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর অধিকাংশ প্রাণীরই হৃৎপিণ্ড আছে। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন প্রাচীনতম হৃৎপিণ্ডের। এটি একটি জীবাশ্ম। কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছে। পৃথিবীর অধিকাংশ প্রাণীরই হৃৎপিণ্ড আছে। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন প্রাচীনতম হৃৎপিণ্ডের। এটি একটি জীবাশ্ম। কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছে।
এই হৃৎপিণ্ডটি মেরুদণ্ডযুক্ত প্রাণীর বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা যখন এর থ্রিডি স্ক্যানিং করেন, তখন হৃদপিণ্ডের ভেতরের অঙ্গগুলোর অবস্থা দেখে অবাক হয়ে যান। এখন এই হৃৎপিণ্ড অবশ্যই কাজ করে না এখন, কিন্তু এর প্রতিটি অংশ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।
বিজ্ঞানীরা এই হৃৎপিণ্ডের নাম দিয়েছেন আর্থ্রোডায়ার হার্ট। এটি প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন বছর অর্থাৎ ৩৮ কোটি বছর পুরনো। এটি সাঁজোয়া মাছের হৃৎপিণ্ড, এই মাছের শক্তিশালী বর্ম-সদৃশ চামড়া আছে। এই হৃৎপিণ্ডটিতে কোনও না কোনও সময়ে রক্ত নিশ্চয়ই প্রবাহিত ছিল, কিন্তু এখন শুধু খনিজ পদার্থই পূর্ণ। এত বছরে অনেক খনিজ জমা হয়েছে। এর নরম টিস্যু এখনও ঠিক আছে দেখে বিজ্ঞানীরাও বিস্মিত। যার কারণেই তাঁরা এটির 3D স্ক্যানিং করতে সক্ষম হন।
প্রাচীন মাছের এই হৃৎপিণ্ডটি একটি এস-আকৃতির অঙ্গ ছিল। যেখানে দু’টি চেম্বার ছিল। বড় চেম্বারের উপরে ছোট চেম্বারটি ছিল। এটি প্যালিওন্টোলজিস্টদের অনুমান থেকে আরও আধুনিক হৃৎপিণ্ড। অতএব, এখন আশা করা হচ্ছে যে এই হৃৎপিণ্ডের অধ্যয়ন করে এই ধরনের প্রাচীণ প্রাণী সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য সামনে আসবে। এতে ঘাড় ও মাথার উৎপত্তির রহস্যও জানা যাবে। পাশাপাশি চোয়ালের বিকাশ সম্পর্কেও জানা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির প্রত্নতাত্ত্বিক কেট ট্রিনাজাস্টিক বলেছেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে এই ধরনের জীবাশ্ম অধ্যয়ন করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এমন বিরল জিনিস হাতে পাইনি।’ কেট জানিয়েছেন যে বিবর্তন একটি খুব ধীর প্রক্রিয়া। এই জীবাশ্মটি দেখলে বোঝা যাবে যে কীভাবে চোয়ালবিহীন প্রাণীরা চোয়ালযুক্ত প্রাণীতে পরিণত হয়েছিল।
আমাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এটি আর্থ্রোড্রয়েড মাছের হৃৎপিণ্ড। আমরা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে গোগো ফর্মেশন থেকে এই হৃৎপিণ্ড পেয়েছি। এই জায়গাটি ফসিলের জন্য পরিচিত। এখানে ডেভোনিয়ান যুগের অনেক জীবাশ্ম এখানে রয়েছে। যাদের বয়স ৪১.৯২ কোটি থেকে ৩৫.৮৯ কোটি বছরের মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।