জুমবাংলা ডেস্ক : ডলারের দাম বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে খোলা বাজারে ডলারের দর ১২৫ টাকা। কার্ব মার্কেটে ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য মুদ্রার দামে বড় পরিবর্তন এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল বুধবার প্রতি এক ডলার কেনা রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। আজ বিক্রি চলছে ১২৫ টাকা। আর কেনার ক্ষেত্রে যে যার মতো করো দর ঠিক করে দিচ্ছেন এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো।
এদিন দিলকুশা এলাকায় ডলার কিনতে আসা সাব্বির রহমান নামের একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার সামান্য কিছু ডলার প্রয়োজন ছিলো। এক সপ্তাহ আগেও ডলার কিনেছিলাম। তবে তখনকার দামের চেয়ে আজকের দামে অনেক ব্যবধান। তাই ডলার না কিনেই ফিরতে হচ্ছে।
এদিকে মোশাররফ নামে আরেকজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি একটি মানি এক্সচেঞ্জে নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বিকেলে হয়েছে। এখনও সিদ্ধান্তই নিতে পারিনি কতো দামে বিক্রি করবো। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কি করা যায়। তে বিক্রি করলেও ১২৫ টাক কমে বিক্রি করা যাবে না।
হাবিবুর রহমান নামে অপর একজন জানান, আশেপাশে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আছে। সত্যিকারের ক্রেতা কে তা বোঝা কঠিন। এখনও বিক্রি শুরু করিনি, অল্প পরিমাণ আছে সন্ধায় কল দিয়ে আসলে পাওয়া যাবে। দোকানের বাইরে যেয়ে দিয়ে আসবো। দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ১২৫ টাকার নীচে দেওয়া যাবে না।
এদিকে ডলারের সাথে অন্যান্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি চেঞ্জারগুলোর কর্মকর্তারা বলছে ১০ টাকা আছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য মুদ্রার দাম বেড়েছে। ভারতীয় মুদ্রার গতকাল পর্যন্ত এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল আজ এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্যান্য দেশের মু্দ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার ক্রলিং পেগ বিনিময় হার পদ্ধতি চালু করেছে এবং ব্যাংকগুলোকে প্রায় ১১৭ টাকায় মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে। নতুন বিনিময় হার পদ্ধতি চালু করায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ পদ্ধতিতে প্রতি মার্কিন ডলারে ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছে এবং আন্তঃব্যাংক চুক্তিতে সিপিএমআরের আশপাশে মার্কিন ডলার ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারবে।
ক্রলিং পেগ হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।