বিনোদন ডেস্ক : আমেরিকার অভিনেতা ম্যাথু পেরিকে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির বাথরুম থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তকারীদের দাবি, স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে ম্যাথুর। তবে অভিনেতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। কেউ কেউ অনুমান করছেন, তার মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।
‘ফ্রেন্ডস’ খ্যাত অভিনেতার মৃত্যু ঘিরে শোকে ডুবে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে এই মৃত্যু কী স্বাভাবিক? প্রশ্ন একাধিক অনুরাগীদের। এরই মধ্যে নেটপাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন কারণের ধোঁয়াশা।
নেটিজেনদের দাবি, হলিউডের কিছু ‘ডার্ক সিক্রেট’ সম্প্রতি অভিনেতা ফাঁস করেছিলেন নিজের বইয়ের মাধ্যমে। তাই কি এই পরিণতি হল? অভিনেতার লেখা বইটির নাম ‘ফ্রেন্ডস, লাভার অ্যান্ড দ্য বিগ টেরিবল থিঙ্গ: অ্যা মেমোরি’। এই বইয়েই নিজের আসক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্কের অবনতি প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুলেছিলেন।
ম্যাথু পেরি হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই কথাও নিজের বইয়ে তুলে ধরেছিলেন অভিনেতা। পেরি বইতে লিখেছেন, তাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে, ভয় দেখানো হয়েছে। কিছু ক্ষমতাশালী মানুষ তাকে এবং তার কেরিয়ারকে কন্ট্রোল করতে চেয়েছিল। তবে এটাই কী তার জীবনের প্রতিশোধ হলো। তাই কী খুন হলেন ম্যাথু পেরি? এমন কথা ভক্তদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অভিনেতার মৃত্যুর পর কিছু তথ্যতে অস্বাভাবিকতা টের পেয়েছেন কেউ কেউ। যেমন- ঘটনায় সাক্ষী কম থাকা, ঘটনাটি ঘটার অনেক দেরিতে খবরটি সামনে আসা। এসব নিয়ে যেন গুঞ্জন বেড়েই চলেছে।
পেরির মৃত্যুর পর সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, জাকুজিতে থাকাকালীন তিনি ‘কার্ডিয়াক এপিসোড’ -এ ভোগেন। আর এর ফলেই তিনি জ্ঞান হারান এবং ডুবে যান। তবে অভিনেতার কিছু ঘনিষ্ঠরা জানান, ঘটনাস্থলে কোনও ড্রাগ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ম্যাথু পেরির জন্ম ১৯৬৯ সালের ১৯ আগস্ট। তিনি একজন মার্কিন অভিনেতা। ‘ফ্রেন্ডস’ এ অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে তিনি ‘দ্য ওড কাপল’ টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ম্যাথু চ্যান্ডলার বিং নব্বইয়ের দশকের ‘ফ্রেন্ডস’-এর প্রধান ছয় চরিত্রের অন্যতম ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রচারিত সিরিজটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে এর শেষ পর্বটি যুক্তরাষ্ট্রের ৫২.৫ মিলিয়ন দর্শক উপভোগ করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।