আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলী হামলায় সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে শিশুদের। গেল তিন সপ্তাহে নিহত শিশুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা সেইভ দ্যা চিলড্রেন বলছে, পুরো বিশ্বে এক বছরে সংঘাতে যত সংখ্যক শিশু নিহত হয়েছে, তার চেয়ে গাজায় মাত্র তিন সপ্তাহে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে আহত শিশুর ভিড়। আর বাবা-মা হারা শিশুদের আশ্রয় হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে।
ইসরায়েলী বিমান হামলায় বিধ্বস্ত আবাসিক ভবন। ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনা হচ্ছে শিশুদের।
অ্যাম্বুলেন্স থেকেও একের পর এক নামছে আহত শিশুরা। মাত্র কয়েক মাস বয়সী শিশুটিরও আশ্রয় এখন হাসপাতালের বেডে।
আহত এসব শিশুদের মধ্যে সবাইকে বাঁচানো সম্ভব নয়নি। অনেককে জানাতে হয়েছে শেষ বিদায়।
এই তিন শিশুকে- পিতার সঙ্গেই দাফন করা হয়েছে এক কবরে।
যারা বেঁচে ফিরেছে, তাদের অনেকেই বাবা-মাকে চিরতরে হারিয়ে এখন দিশেহারা।
অনাথ এসব শিশুদের আশ্রয়স্থল- শরণার্থী শিবির। যেখানে নেই পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানি। কোনো রকমে একবেলা খেয়ে দিন কাটছে।
কষ্টে আছে নবজাতক ও তাদের মায়েরা। পর্যাপ্ত দুধ, ভ্যাকসিনসহ প্রয়োজনীয় কোন কিছুই মিলছে না গাজায়। সাবিনা নামে এই মায়ের প্রশ্ন- কি অপরাধ তার ৮ দিন বয়সী শিশুর?
ফিলিস্তিনি মায়ের এমন প্রশ্নের উত্তর নেই ইসরায়েলী বাহিনীর কাছে। আন্তর্জাতিক মহলের সব দাবি উপেক্ষা করে হামাসকে নির্মূলে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একটানা গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
সেইভ দ্যা চিলড্রেন জানায়, গেল এক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে যত শিশু মারা গেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে গাজায়- মাত্র তিন সপ্তাহে।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলী বাহিনীর এই যুদ্ধ মাত্র শুরু- এটি হবে আরো দীর্ঘ ও কঠিন- ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যই বলে দিচ্ছে আগামীতে আরো কতো শিশুকে প্রাণ দিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।