মডেলিং থেকে টিভি নাটক, বড় পর্দায় পা রেখেও দ্যুতি ছড়ান। সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলায়, তারপর বলিউড—জয়া আহসান সব জায়গাতেই মানুষের মন জয় করেছেন। বাংলাদেশ-ভারত মিলিয়েই ধারাবাহিকভাবে চলছে তার কাজ।
পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন জয়া আহসান। ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জমা পড়েছে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে। আর দুই দেশের দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসার কথা বলাও বাহুল্য।
জয়া আহসানের এই তারকা খ্যাতি কী তাকে ক্লান্ত অনুভব করায়? না কি জয়া আহসান আরো কিছু পেতে চান? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ‘গেরিলা’ তারকা। জয়া আহসান বলেন, “কী পাওয়া বাকি রয়ে গেল, তা নিয়ে আর ভাবি না। অনেকে বলেন, ‘আমি সফল, কিন্তু এখন আর সাফল্য টানে না।’ ওই শব্দের সঙ্গে একটা স্বার্থপরতা লুকিয়ে আছে। আমি শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে সার্থক হতে চাই।”
জয়ার ঢাকার বাসায় ছাদবাগান রয়েছে। গাছের সঙ্গে সময় কাটাতে তাকে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। চাষবাসের প্রতি আগ্রহী হওয়ার বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আসলে এটা বোধহয় প্রথম থেকেই আমার ভিতরে ছিল। একটা সময়ের পর সেলিব্রিটি তকমা, লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন একঘেয়ে হয়ে যায়। আগে ওগুলোই জীবনের ডিজায়ার ছিল। কিন্তু এখন শিকড়ের কাছে ফিরতে ইচ্ছে করে।”
গাছের সঙ্গে কথা বলেন জয়া আহসান। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “চাষ করাটা আমায় মাটির কাছাকাছি নিয়ে যায়। বলতে পারেন ওটা আমার অক্সিজেন। ডিটক্স করে। অনেকে শুনলে ভাববেন, আমি নাটক করছি। কিন্তু আমি আমার গাছেদের সঙ্গে কথা বলি।”
জয়া আহসান বর্তমান কলকাতায় অবস্থান করছেন। সেখানে একটি সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাছাড়া তার অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ সিনেমা আগামী ১৮ জুলাই মুক্তি পাবে। এটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।