সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জে অপহরণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিরা খন্দকারকে ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি মূলত প্রেমঘটিত—এমন প্রাথমিক ধারণা তাদের।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত মিরা খন্দকার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং শহরের হলি ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয়, একই উপজেলার চান্দইর গ্রামের বাসিন্দা রাহাত মল্লিকের ছেলে শামীম আহমেদ ওরফে আবির দীর্ঘদিন ধরে মিরাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, শামীম একাধিকবার মিরাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকায় এলজিইডি সড়ক থেকে মিরার মায়ের উপস্থিতিতেই শামীম ও অজ্ঞাত আরও তিন–চারজন মিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃত শিশুটির মা সৈয়দা জাহিদা চৌধুরী বলেন, “একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় শামীম ও তার সহযোগীরা। তখন আশপাশে লোকজন থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।”
ভুক্তভোগীর পরিবার আশঙ্কা করছে, অপহৃত স্কুলছাত্রীর জীবন ও নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ মুন্সি বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে মেয়েটি ছেলেটির সঙ্গে চলে গেছে। এর আগেও একবার সে বাড়ি ছেড়ে গিয়েছিল। তখন তাকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন বলেন, “অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



