জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়। এরপর দেখা করার কথা বলে এক ছাত্রকে ডেকে নিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় দুই তরুণীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ওই কলেজছাত্রকে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অপহৃতের বাবা খন্দকার আশরাফুল নেওয়াজ হিরু। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণ খান থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহৃত ছাত্রের নাম রাশিদুস সাবরু নিলয়। তিনি তেজগাঁও কলেজের ইতিহাস বিভাগের (অনার্স) শেষ বর্ষের ছাত্র। সাভারের জামসিং এলাকায় বাবা খন্দকার আশরাফুল নেওয়াজ হিরুর সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার গুটিয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লার মেয়ে আতিয়া ইসলাম টিনা ওরফে নীলা (২২), রাজধানীর নবাবগঞ্জ থানার আলীরচর গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের ছেলে ও আতিয়া ইসলামের স্বামী রবিন মাহমুদ (২৩), বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার গুটিয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে ও আতিয়া ইসলামের ভাই আসিফ মাহমুদ (২০), বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার দহরপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে শারমিন আক্তার (২৬) ও লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৪)। তারা সবাই ঢাকার দক্ষিণখানের ফায়েদাবাদ ছাপরা মসজিদ সংলগ্ন মীর জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সাভার থেকে উত্তরার উদ্দেশে বের হয়ে যান নিলয়। এদিন রাত ৮টা ৫২ মিনিটে ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে কল আসে বাবা খন্দকার আশরাফুল নেওয়াজের ফোনে। ওপার থেকে নিলয় বলেন, বাবা আমাকে বাঁচাও। পাঁচ লাখ টাকা দিলে ওরা আমাকে ছেড়ে দেবে। ওরা আমাকে মারছে। আমাকে বাঁচাও। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয় ছেলের রক্তাক্ত ছবি। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ও র্যাবকে জানালে অভিযান শুরু করে র্যাব। পরে র্যাব উত্তরার দক্ষিণখান থেকে অপহৃত নিলয়কে উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে নিলয়ের বাবা বলেন, আমার ছেলেটাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। তারা দিনভর ছেলেটার ওপর নির্যাতন করেছে। এরা অত্যন্ত নির্দয় মনের মানুষ। আমি এদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই চক্রটি ভয়ংকর, যারা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। অপহৃত ব্যক্তিকে মারধরের পর পরিবারের কাছে ভিডিও-ছবি পাঠায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের সাভার মডেল থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।