জুমবাংলা ডেস্ক : ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে প্রেমিককে অপহরণের ঘটনায় প্রেমিকাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর জুরাইন থানাধীন পোস্তগোলা সেতুর নিচ হতে অপহৃত প্রেমিক আলালকে (২৪) কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
অভিযোগের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১০ এর একটি দল বুধবার গভীর রাতে গদারবাগে নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও ৬ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর র্যাব-১০ এর সদর দপ্তরে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার তানভীর আহমেদ শিথিল জানান, শ্যামপুর থানার জুরাইন এলাকার বেকারি শ্রমিক মো. আলাল মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে অপহরণকারী চক্রের সদস্য কুলসুম। গত ৬ জানুয়ারি আলাল মিয়াকে একটি সিএনজিতে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে কেরানীগঞ্জের গদারবাগে নিয়ে যায়। তাকে একটি ঘরে আটকে রাখে। ওই রাতেই ভিকটিমের মাকে ফোন দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। এ সময় অপহরণকারী চক্রের নারী সদস্য কুলসুমসহ তার সহযোগী ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- গদারবাগ এলাকার বাবুল সরকারের ছেলে সৈকত সরকার (২০), একই এলাকার মৃত মশিউর রহমানের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৮), জিনজিরা পটকাজুর এলাকার শামসুল হকের ছেলে শিহাব রহমান সিন (২১), একই এলাকার মৃত নাজিম উদ্দীনের ছেলে মো. রাসেল, হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন দনকুরা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (৩০), মুন্সীগঞ্জ সদরের চৌসমুদ্দিন এলাকার মৃত শুক্কুর আলীর মেয়ে কুলসুম (২১)।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল ও ধারালো কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
অপহরণকারীরা আলাল মিয়াকে বিভিন্নভাবে মারধর ও নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে সেগুলো তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধারের জন্য অপহরণ চক্রের সদস্যদের ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে না দেওয়ায় পরিবারের লোকজন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ও র্যাব-১০ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।