আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিডনিতে পাথর হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে সেই পাথর বাদ দিতে গিয়েছিলেন ৪১ বছর বয়সি মার্কিন নারী লুসিন্ডা মুলিনস। অস্ত্রোপচারের সময় স্বাভাবিকভাবেই তাকে সংজ্ঞাহীন করে নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। জ্ঞান ফেরার পর নিজের অবস্থা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। তার দুই পায়ের কোনোটিই নেই। হাঁটু থেকে কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা! তাকে আরও জানানো হয়, তার জীবন বাঁচাতে কনুই থেকে দুই হাতও কেটে বাদ দিতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই তার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছিল। পরে চিকিৎসকরা লুসিন্ডাকে জানান, তার কিডনির পাথরে সংক্রমণ হয়েছে এবং সেপটিক হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত অস্ত্রোপচার করা দরকার। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আর অস্ত্রোপচারের পর ওই দুঃসংবাদ পান তিনি।
কয়েকদিন অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। একবার জেগে উঠলে তিনি দেখতে পান যে ডাক্তাররা জীবন বাঁচাতে হাঁটু থেকে তার উভয় পা সরিয়ে দিয়েছেন। তাকে আরও বলা হয়েছিল যে তার কনুইয়ের নিচের দুটি হাতও সরিয়ে ফেলতে হবে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক সাক্ষাৎকারে লুসিন্ডা বলেছেন, ‘হাঁটু থেকে আমার দুই পা-ই আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমার দুই হাতও সম্ভবত কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে ফেলতে হবে। যে ডাক্তার আমার চিকিৎসা করছেন তিনি জানিয়েছেন, আমার জীবন বাঁচাতে তাদের যা করতে হয়েছে, তারা করেছেন। আর তার ফলেই আমি বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছি।’
তবে এই বিধ্বংসী খবরেও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং জীবনমুখিতা হারিয়ে যায়নি লুসিন্ডার। প্রাথমিকভাবে অবশ্যই তাকে গ্রাস করেছিল অবসাদ। পরে অবশ্য তিনি বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখা শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার এই নতুন পরিস্থিতির ফলে তিনি এখন তার স্বামী এবং দুই ছেলের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারছেন।
রোমান্স ও ক্রাইম থ্রিলার এ পরিপূর্ণ এই ওয়েব সিরিজ, যা আপনার রাতের ঘুম কাড়বে
তিনি বলেছেন, ‘আমি যে বেঁচে আছি, তাতেই আমি খুশি। আমি আমার বাচ্চাদের সবসময় দেখতে পাচ্ছি। আমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছি। স্বামীর সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাতে পারছি। এগুলোকে ছোটখাটো বিষয় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু, এখন এটাই আমার জীবন। প্রতিটি দিন আমি মনে করি ঈশ্বরের আশীর্বাদ।’
সূত্র: ইয়ন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।