জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শুটার মো. মাসুম ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশেষ সুবিধাসহ আগের মামলাগুলো তুলে নেওয়ার শর্তে টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট নেন মাসুম।
রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. মাসুম ওরফে আকাশ জানিয়েছে, হত্যার কাজটি ঘটনার পাঁচ দিন আগে নেন তিনি। তিন দিন আগে তাকে জানানো হয় কাকে খুন করতে হবে। শুধু তাই নয়, ঘটনার আগের দিন টিপুকে কমলাপুরে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানায় আকাশ। আর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য টাকা নয়, আগের কয়েকটি মামলা তুলে নেওয়াসহ বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চুক্তিতে কাজটি করেন বলে জানান আকাশ।
ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হত্যার আগের দিন টিপু রেস্টুরেন্ট থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হলে রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেন মাসুম। তবে বেশি লোকজন থাকায় সেদিন ব্যর্থ হন। ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) এক ব্যক্তি টিপুর রেস্টুরেন্টে অবস্থান করে মাসুমকে তথ্য দিতে থাকেন।
তিনি বলেন, শ্যুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ (৩৪) চাঁদপুরের মতলবের কাইশকানির মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি রাজধানীর পশ্চিম মাদারটেকের ৬০/১৫ বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার নামে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়। সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালকও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।