বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিজ্ঞানীরা ১৮৮ বছর ধরে কিং কোবরা বা রাজগোখরা রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তারা এই রহস্যের সমাধান করেছেন। বিজ্ঞানীরা এখন জানেন যে, বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত এই সাপের আসলে একটি নয়, চারটি আলাদা প্রজাতি রয়েছে। ১৮৮ বছর ধরে রাজগোখরাকে একটিই প্রজাতি Ophiophagus hannah হিসেবে ধরা হতো।
কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে এই সাপের শরীরের রং এবং অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে বিজ্ঞানীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, এটি কি সত্যিই একটিই প্রজাতি?
২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা রাজসাপের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেনেটিক পার্থক্য নিশ্চিত করেছিলেন। এই গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এখন জাদুঘরের নমুনাগুলোর শারীরিক পার্থক্য তুলনা করে চারটি আলাদা প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন: নর্দার্ন রাজ রাজগোখরা (O. hannah), সুন্দা রাজগোখরা (Ophiophagus bungarus), ওয়েস্টার্ন উপকূলীয় রাজগোখরা (Ophiophagus kaalinga) এবং লুজন রাজগোখরা (Ophiophagus salvatana)। এই গবেষণাপত্রটি ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ট্যাক্সোনমিতে’ গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে।
‘মনে হয় আমরা ইতিহাস রচনা করেছি,’ বলেছেন এই আবিষ্কারের নেপথ্য নায়ক ভারতের কলিঙ্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কলিঙ্গ সেন্টার ফর রেইনফরেস্ট ইকোলজির পরিচালক গৌরী শঙ্কর পোগিরি।
রাজগোখরা আর্দ্র পরিবেশে, যেমন খোলা বন এবং ঘন ম্যানগ্রোভ যেমন—সুন্দরবনে, উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ চীন এবং সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে বাস করে। এই অঞ্চলগুলোতে, তাদের দেহের রঙ, প্যাটার্ন এবং আকারে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
এই গবেষণার ভিত্তিতে, নতুন গবেষণায় ১৫৩টি জাদুঘরের নমুনার শারীরিক পার্থক্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনাগুলির শরীরের শারীরিক গঠন, তাদের রঙের প্যাটার্ন, শরীরের প্রস্থ এবং দাঁতের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ২০২১ সালের গবেষণায় পাওয়া জেনেটিক বংশধারার সাথে মিল রেখে চারটি প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।