বিনোদন ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একদল শিল্পীদের অবস্থান ছিল বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) পক্ষে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে তারা হেঁটেছিলেন উল্টো পথে। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন দমাতে এক হয়েছিলেন তারা। খুলেছিলেন ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও। যা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেখানে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস আন্দোলনকারীদের ওপার ‘গরম জল’ ঢালতে বলেছিলেন।
গণআন্দোলনের মুখে গেল ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সরকার পতনের পরপরই গোপনে দেশ ছেড়ে কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন অরুণা বিশ্বাসও। অনেকেরই প্রশ্ন- কেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এসব শিল্পীরা শিক্ষার্থীদের এত তাজা প্রাণ হারিয়ে যাওয়ার পরও নিশ্চুপ ছিলেন? কেন তারা সরকারের অন্যায়-অবিচারের ঢাল হয়েছিলেন?
ইতিমধ্যেই কথা রটেছে- অরুণা বিশ্বাস এগুলো (আন্দোলনের বিপক্ষে) করেছেন শুধুমাত্র বিটিভি’র মহাপরিচালক হওয়ার আশায়। আসলেই কী তাই?
সুদূর কানাডা থেকে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘নাহ। আমি বিটিভির ডিজি হতে চাই নাই। এটা তো হওয়া সম্ভব না। আমি ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম হওয়ার জন্য বলেছিলাম আগের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে। উনি বলেছিলেন, এটা তো প্রধানমন্ত্রীর বিষয়- এইটুকুই। আমি আসলে কাজ করার জন্যই হতে চেয়েছিলাম।’
আন্দোলনকারীদের ওপার ‘গরম জল’ ঢালার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গরম জল বলতে তিনি জলকামানের কথা বুঝিয়েছেন! আমরা কিন্তু সেখানে (গ্রুপে) কোনো বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধহয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।’
গেল ৫ আগস্টের ফলাফল নিয়ে অরুণা বিশ্বাসকে যদি আত্মসমালোচনা করতে বলা হয় কী বলবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে অরুণা বলেন, ‘আমি এগুলো বলতে গেলে তো…। এসব নিয়ে বলা ঠিক না। কিছুই বলব না। অনেক সময় সত্য কথা বলা যায় না। বলা উচিতও না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।