বিনোদন ডেস্ক : শনিবার দক্ষিণ কলকাতার প্রথম সারির একটি মলে সাংসদ-তারকার ঘোষণা, ‘‘২৯ এপ্রিল বিয়ে করছি রুক্মিণীকে!’’ যাঁকে কেউ কিছুতেই ছাদনাতলায় নিয়ে যেতে পারছিলেন না, সেই দেব তাঁর ছবি ‘কিশমিশ’-এর মুক্তির দিন নাকি সাতপাক ঘুরতে চলেছেন রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে! কথাটা কানে যাওয়া মাত্রই তুমুল শোরগোল অনুরাগীদের মধ্যে।
এত দিন বুঝি অনুরাগীদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন দেব? পরীক্ষার ফল কী দাঁড়াল?
শনিবার দক্ষিণ কলকাতার প্রথম সারির একটি মলে সাংসদ-তারকার ঘোষণা, ‘‘২৯ এপ্রিল বিয়ে করছি রুক্মিণীকে!’’ যাঁকে কেউ কিছুতেই ছাদনাতলায় নিয়ে যেতে পারছিলেন না, সেই দেব তাঁর ছবি ‘কিশমিশ’-এর মুক্তির দিন নাকি সাতপাক ঘুরতে চলেছেন রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে! কথাটা কানে যাওয়া মাত্রই তুমুল শোরগোল অনুরাগীদের মধ্যে। নিজেদের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কেউ! হঠাৎ কী এমন ঘটল যে এত বড় ঘোষণা করে দিলেন দেব? পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়, চিত্রগ্রাহক মধুরা পালিত, হবু কনে রুক্মিণী মৈত্র সাক্ষী।
এ দিন সবাই দেবকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটিই প্রশ্ন করে গিয়েছেন, দিন এগোচ্ছে প্রেম কি বাড়ছে দেব আর তাঁর দেবীর? প্রথমে হাসিমুখে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন দেব-দেবী। কখনও হাল্কা খুনসুটিও করেছেন, ‘‘আরে, সবাই যে আমার বেড রুমে ঢুকে পড়ছেন!’’ তার পরেই আচমকা বলে উঠেছেন, ঠিক আছে। নতুন ছবি মুক্তির দিনেই নতুন জীবনে পা রাখবেন যুগলে! পাশে তখন লাজুক হাসছেন রুক্মিণী।
এ বার আসল ঘটনা। শনিবার ‘কিশমিশ’-এর দ্বিতীয় গান ‘ভালবেসে চলে যাব’-র মুক্তির দিন। গানে জায়গা করে নিয়েছে আটের দশকের ভালবাসা। হোয়াটসঅ্যাপে ইমোজি পাঠিয়ে ভালবাসি বলা নয়, তখন প্রেম আসত লুকিয়ে চুরিয়ে, আলগোছে। কখনও ভো-কাট্টা ঘুড়ির বুকে প্রেমপত্র। কখনও গানে গানে। নাটকের মহড়ায়। রাজনৈতিক মিছিলেও। সেই গানে আরও যেন টাটকা দেব-রুক্মিণী রসায়ন। যা দেখে মনে হতে বাধ্য, ষষ্ঠ ছবিতে নতুন করে প্রেমে পড়েছেন তাঁরা।
দেবের গান-মুক্তি। সাংবাদিকেরা থাকবেনই। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, দেব কখনও নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন বাড়িতে? অভিনেতার দাবি, তিনি আজ পর্যন্ত বিয়ের কথা বলেননি। উল্টে বাড়ির লোক নাকি নাগাড়ে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন তাঁকে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কবে বিয়ে করবেন দেব? তখনই নাচার দেব হাসতে হাসতে বলে ওঠেন উপরে বলা কথা।
একটি গানের দৃশ্য দেবকে নিয়ে মজার ছলে বলিয়ে নিয়েছে তাঁর বিয়ের তারিখ! এই একটি গান তৃণমূল সাংসদের হাতে বাম দলের পতাকা ধরিয়ে দিয়েছে! গানের দৃশ্যের মিছিলে দেব লাল ঝান্ডা নিয়েছেন। শাসকদলে এর কোনও ছাপ পড়বে না তো? দেবের দাবি, আটের দশক ফিরিয়ে আনতে গেলে বাম দলকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। কারণ, তখন তাদেরই জমানা। পাশাপাশি আরও যুক্তি, ‘‘তৃণমূলের সমর্থক হলেও আজ পর্যন্ত কোনও বিরোধী দল সম্পর্কে কোনও কুমন্তব্য করিনি। সব দলকে সমান সম্মান দিই। আমার কাছে মানুষের জন্য রাজনীতি। পেশার ক্ষেত্রে আগে অভিনেতা তার পর রাজনীতিবিদ। তাই লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নিতে আমার কোনও অস্বস্তি হয়নি।’’
দেবের মতোই ছবির গানে ভেসেছেন রুক্মিণীও। তাঁর কথায়, ‘‘এই ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালবাসার কথা বলা হয়েছে। সেই ভালবাসা যা আমার দাদু-দিদার ছিল। এমন খাঁটি অনুভূতি এখন দুর্লভ। শুধু মাত্র এই কারণেই ছবিটি করতে রাজি হয়েছি।’’ অভিনেত্রীর দাবি, ‘ভালবেসে চলে যাব’ গান প্রতি মুহূর্তে ভালবেসে কাঁদিয়েছে তাঁকে। চার বছরের অভিনয় জীবনে এটাই তাঁর অভিনীত সেরা গানের দৃশ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।