বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে মোবাইল ফোন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক তিন ঘণ্টার বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটানো কিশোরদের মানসিক সমস্যায় পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তারা হতাশা, উদ্বেগ, আত্মহত্যার চিন্তা এমনকি আত্ম-আঘাতের মতো গুরুতর সমস্যার শিকার হতে পারে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বর্তমানে ৪৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মনে করে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে ৪৪ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়া কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কেন প্রয়োজন সন্তানকে স্ক্রিন থেকে দূরে রাখা?
মানসিক স্বাস্থ্য: প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে মনোযোগ বাড়ে, মেজাজ ভালো হয় এবং স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমে।
শারীরিক স্বাস্থ্য: শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে শক্তি, সমন্বয় এবং হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় থাকে।
আত্মবিশ্বাস: প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা আত্ম-মূল্যবোধ ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।
সন্তানের মোবাইল আসক্তি দূর করার ৫ কার্যকর উপায়
১. বাগান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন
ছোট একটি সবজি বা ফুলের বাগান করার দায়িত্ব দিন। গাছ লাগানো ও পরিচর্যার মাধ্যমে কিশোররা প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে পারে এবং নিজেদের প্রতি গর্ববোধ তৈরি হয়।
২. কুকুর হাঁটানোর দায়িত্ব দিন
যদি বাড়িতে কুকুর থাকে, সন্তানকে তার দেখাশোনা ও হাঁটানোর দায়িত্ব দিন। এতে শরীরচর্চা হবে, মানসিক চাপ কমবে এবং বাস্তব জীবনের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে।
৩. ঘরের বাইরের কাজগুলোতে যুক্ত করুন
লন পরিষ্কার, আগাছা পরিষ্কার বা গাড়ি ধোয়ার মতো কাজ তাদের রুটিনে রাখুন। এই কাজগুলো তাদের বাইরে সময় কাটাতে বাধ্য করবে এবং প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখবে।
৪. সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন
সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন বাইক চালানো বাধ্যতামূলক করুন। মুক্ত বাতাসে সাইকেল চালানো স্ট্রেস কমায় এবং শারীরিক-মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে।
৫. আঙিনা ও উঠান পরিষ্কার করতে বলুন
প্যাটিও ধোয়া, পুল পরিষ্কার বা গাড়ি পরিষ্কারের মতো কাজ তাদের শরীরচর্চায় সাহায্য করবে এবং স্ক্রিনের প্রতি নির্ভরতা কমাবে।
বাসায় কিংবা ছোট ছোট প্রকৃতি ভ্রমণের মাধ্যমে সন্তানকে প্রকৃতির সাথে যুক্ত করুন। প্রকৃতি কিশোরদের মানসিক প্রশান্তি, শারীরিক সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাস গঠনে বড় ভূমিকা রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।