বিনোদন ডেস্ক : কন্যা সন্তানের জন্মের চার মাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সুখবর শোনান দেবিনা। কিন্তু, মা হওয়ার খবর নিশ্চিত করাটা মোটেই খুব একটা সহজ ছিল না নিউলি মম দেবিনার পক্ষে। দোকানে গিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে অস্বস্তিবোধ করছিলেন গুরমিতের স্ত্রী। কিন্তু, কেন? সেই কথা নিজের ব্লগ এসে জানান মম টু বি দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথম সন্তানের জন্মের মাত্র চার মাসের মধ্যেই ফের প্রেগন্যান্সি টেস্ট…ব্যাপারটা খুবই অস্বস্তিকর ছিল। দোকানে গিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে খুবই অস্বস্তি বোধ করেছিলেন। তাই অনলাইনে কিটের অর্ডার দেন। হ্যাঁ, গুরমিতের স্ত্রী দেবিনার কথাই বলছি। কয়েকদিন আগে দ্বিতীয়বার অন্তসত্ত্বা হওয়ার সুখবর দিয়েছেন নিউলি মম দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কিট কেনার সমস্যাটাও সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন দেবিনা।
তিনি জানান, দোকানে গিয়ে কিট কিনতে খুবই লজ্জা লাগছিল। সকলেই জানে যে কিছুদিন আগেই তিনি মা হয়েছেন। তাই কিট কিনতে খুবই অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। নিজের vlog-এ এই কথা যেমন শেয়ার করেছেন তেমনই জানিয়েছেন যে গুরমিত বা দেবিনা কেউই দ্বিতীয় সন্তানের জন্য কোনও পরিকল্পনা করেননি। এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ।
গত এপ্রিল মাসে IVF পদ্ধতিতে মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন দেবিনা। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন দেবিনা। চার মাসে মধ্যেই তাঁদের জীবনে নতুন অতিথি আসার সুখবর শোনান দেবিনা। দ্বিতীয়বার মা হওয়ার খবরে গুরমিতের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল তাও শেয়ার করেন দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে খবরটা শুনে গুরমিত বিশ্বাসই করতে পারেননি। পরে যখন সোনোগ্রাফির মাধ্যমে হার্টবিট শোনেন তখন তাঁর আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। vlog-এ এসে দেবিনা কী বললেন?
“Lianna-এর জন্মের মাস খানেক পরই আমার শরীরে একটা অস্বস্তি শুরু হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম সন্তান খুবই ছোট। তাই হয়তো এই রকম হচ্ছে। ভীষণ ক্লান্ত লাগত আমার। বাচ্চা ছোট বলে বিশ্রাম নেওয়ার খুব একটা সুযোগ হতো না। তাই হয়তো শরীর খারাপ হচ্ছে। এইসব ভেবে বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার মনে হচ্ছিল কিছু একটা ঘটছে। আমি শরীর নিয়ে খুবই সচেতন। তাই গুরমিতকেও বিষয়টা বলি। ও আমাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু, আমার শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। তকই আমি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এবার আসা যাক প্রেগন্যান্সি কিট প্রসঙ্গে। vlog-এ এসে প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে কতটা সমস্যা হয়েছিল সেই কথাও শেয়ার করেন দেবিনা। তাঁর সংযোজন, “আমি কিট কিনতে দোকানে যেতে খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম। গোটা দুনিয়া জানে আমি কিছুদিন আগেই মা হয়েছি। তাই খুব অস্বস্তি হয়েছিল।
সেই জন্যই উপায় না দেখে অনলাইনে কিটের অর্ডার দিয়েছিলাম। টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ দেখে প্রথমে চমকে গিয়েছিলাম। তবে খুশিও হয়েছিলাম। কারণ শেষ পাঁচ থেকে সাত বছর আমার শরীর প্রাকৃতিক উপায়ে মা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছিল। তাই যখন অপ্রত্যাশিতভাবে মা হওয়ার স্বাদ পেলাম সেই অনাবিল আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারিনি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।