জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে কম্পিউটার ক্লাসের সময় ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করার। ৪০-৫০ জনের একটি ক্লাসে এমন আচরণ করা কি কখনো সম্ভব? মূলত আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। অভিযোগকারীদের মধ্যে অন্যতম একজনের সঙ্গে আমার ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তিনিই আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করিয়েছেন।
নিরপেক্ষ তদন্ত হলে নিশ্চয়ই সত্যটা বেরিয়ে আসবে। কারণ আমি কোনো ছাত্রীর শরীর স্পর্শ করি নাই। ’
নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে এমন বক্তব্য দেন পঞ্চগড়ের বোদা পাইলট মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের আইসিটি শিক্ষক নুরে আলম সিদ্দিকী। আজ বুধবার নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এর আগে সোমবার (২৮ মার্চ) তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন অভিভাবকরা। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষক ক্লাসে শেখানোর সময় ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নুরে আলম সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘আমি আমার চাকরির বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট করায় বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক আমার ওপর ক্ষুব্ধ। প্রায় ২০ বছর ধরে আমি এখানে চাকরি করছি। কেউ বলতে পারবে না আমি কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি। তারা এই অভিযোগ করায় আমি মানসিকভাবে মারাত্মক আঘাত পেয়েছি। বিষয়টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত দাবি করছি। ‘
বোদা পাইলট মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জামিউল হক বলেন, ‘হঠাৎ গত রবিবার সাত-আটজন ছাত্রী আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানায়। পরদিন অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ‘
এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।