জুমবাংলা ডেস্ক : পুকুরে কেউ কেউ তেলাপিয়া মাছের চাষ করে থাকেন। আবার কেউ কেউ তেলাপিয়ার সাথে মিশ্র মাছের চাষ করে থাকেন। তেলাপিয়ার সাথে মলা মাছের চাষ পদ্ধতি মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে। এখন আর আগের মতো প্রাকৃতিক উৎসে মাছ পাওয়া যায় না। তাই অনেকেই তাদের পুকুরে বিভিন্ন ধরণের মাছ চাষ করছেন। আজকের জানবো তেলাপিয়ার সাথে মলা মাছের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে:-
তেলাপিয়ার সাথে মলা মাছের চাষ পদ্ধতি, যা আগে জানতে হবে:
মলা বড় হলে তা জাল টেনে ধরে বিক্রি করে দিতে হবে।
পুকুরে প্রথমে মলা মাছ ছাড়তে হবে তারপর এর তেলাপিয়া ছাড়তে হবে।
মলা মাছের চাষের সময়কাল কম।
মলা মাছে লাভের পরিমাণটাও অনেক বেশি হবে।
মলা ও তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতি:
যে পুকুরে মলা ও তেলাপিয়া মাছের চাষ করা হবে সেখানে কোন অবাঞ্ছিত মাছ থাকলে তা আগেই সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য প্রথমে পুকুরে বিষ টোপ দিয়ে অবাঞ্ছিত মাছগুলো দূর করতে হবে। এর পরের দিন পুকুরের তলদেশের অবস্থা বুঝে শতাংশ প্রতি আধা কেজি থেকে এক কেজি চুন দিয়ে এর ৬-৭ দিন পর শতাংশ প্রতি ০.৩ মি.লি. পিপিএম হারে সুমিথিয়ন দিয়ে তার একদিন পর পুকুরে মলা মাছের রেনু দিতে হবে। আমাদের বর্তমান চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি ৫০ শতাংশের পুকুরে এক হাপা মলা মাছের রেনু দিতে হবে।
মাছের রেনু ছাড়ার পর থেকে ডিম সিদ্ধ করে ২ দিন খাওয়ানোর পর তৃতীয় দিন থেকে নার্সারি পাউডার ৪ ঘণ্টা আগে থেকে ভিজিয়ে দিনে দুইবার ( সকাল দশটায় একবার বিকেল পাঁচ টায়) দিতে হবে। এভাবে ২৫-৩০ দিন রেনুকে খাওয়ালে পরে ১-১.৫ ইঞ্চি সাইজে পরিণত হবে। তারপর এই মলা মাছের উপর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ছাড়তে হবে।
পুকুরে মলা মাছের বয়স যখন ৯০ দিন পূর্ণ হবে সেদিন মলা মাছ বাজারজাত করার পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। তেলাপিয়ার বাজারজাত হবে আরও পরে। ঠিকভাবে পারিপালিত হলে ৯০ দিন পর মলা মাছ ২০০-৩০০ পিসে কেজি হবে।
মলা মাছের বয়স ৯০ দিন হলে পরে আনুমানিক ৯০% মলা বিক্রি করে দিয়ে ১০% মলা মাছ তেলাপিয়ার সাথে রেখে দিতে হবে। তারপর তেলাপিয়াকে সাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত চাষে রেখে দিতে হবে ৫০ কেজি উৎপাদন হওয়ার আগ পর্যন্ত। কারণ শতাংশ প্রতি তেলাপিয়া ৫০ কেজি উৎপাদন হয়ে গেলে আর বেশি একটা উৎপাদন হয় না সাধারণ পদ্ধতিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।