লাইফস্টাইল ডেস্ক : সন্তান বড় হয়ে মূলত কেমন হবে সেটি অনেকটা নির্ভর করে কিভাবে এবং কোন পরিবেশে বেড়ে উঠছে তার ওপর। পরিবার, পরিজনের বাইরে আরেক নির্ভরতার জায়গা হলো ‘বন্ধুমহল’। প্রকৃত বন্ধুত্বের সঙ্গে বিশ্বাস ও অবিরাম ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে কমবেশি সব বাবা-মায়ের ই উদ্বেগের বিষয় হলো আমার সন্তানকে কাদের সাথে ওঠাবসা করছে?
সন্তানের বন্ধুদের কেন চেনা জরুরি?
সত্যিকারের বন্ধুত্ব বা ভালো বন্ধুত্ব ভালো স্বাস্থ্যের মত। সন্তানের বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভালো বন্ধুত্ব সাহায্য যেমন সাহায্য করে তেমনি খারাপ সঙ্গ সন্তানের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমাদের সন্তানের বন্ধুত্বের দিকে সচেতন হতে হবে। জানার চেষ্টা করতে হবে সন্তান কার বা কাদের সঙ্গে মিশছে।
সন্তান ছোট থাকাকালীন সময় থেকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। সন্তান বেড়ে ওঠার সাথে বুঝতে সুবিধা হবে।
সন্তানের বন্ধুদের চেনার পাশাপাশি তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে কতটুকু হস্তক্ষেপ করবেন অথবা সন্তানকে বন্ধুত্বের ব্যাপারে কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলবেন সেই কৌশল জানাও দরকার।
সন্তান বড় হওয়ার সাথে বন্ধুদের সঙ্গে ছোটখাটো মনোমালিন্য হতে পারে। তখন অনেক সময় বাবা মায়েরা না বুঝেই সমাধানে ঢোকার চেষ্টা করেন। এমনটি করা ঠিক নয়। সন্তানকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে সন্তানকে সঠিক পথটি বেছে নিতে দিন। শুধু মা-বাবা কিংবা অভিভাবক হিসেবেই নয় একজন ভালো বন্ধুর মত সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
আজকাল বাবা-মা কর্মব্যস্ত থাকায় সন্তানের সাথে দূরত্ব বেড়েই চলছে। সন্তানের সাথে সময় কাটানোর সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না বলে ফোনে সবসময় যোগাযোগ রাখুন। দিনের কোনো একটি সময় সন্তানের সাথে গল্প করার চেষ্টা করুন। সন্তানের দিনলিপি সম্পর্কে স্বচ্ছ একটি ধারণা যেন থাকে।
সন্তানকে কারণে অকারণে সন্দেহ না করে সন্তানকে কিছুটা ব্যক্তি স্বাধীনতা দিন। সন্তানের হয়ত মনে হতে পারে আপনি তাকে বিশ্বাস করছেন না। এতে আপনার ওপর ক্ষোভ তৈরি হতে পারে।
সন্তানের বন্ধুদের মাঝেমধ্যে বাড়িতে বেড়াতে আসতে বলুন। আপনি নিজেও তাদের সাথে গল্প করার চেষ্টা করবেন,এতে করে আন্তরিকতা বেড়ে যাবে।
সন্তানের কোনো বন্ধুকে পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সন্তানকে সরাসরি মিশতে বারণ না করাই ভালো। যদি মনে করেন তাদের সঙ্গ আপনার সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে সেক্ষেত্রে সন্তানকে বুঝাতে হবে। সন্তানকে খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে সর্তক করুন। এক্ষেত্রে দেখবেন সন্তান নিজ থেকে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করছে।
সন্তানের জন্মদিন বা অন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে সন্তানের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান। বন্ধুদের সাথে কিভাবে মেলামেশা করছে, আচরণ বদলে যায় কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
সন্তানের বন্ধুদের সাথে সুসম্পর্ক রা খার মাধ্যমে কোন বন্ধু কেমন তা বুঝতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।