জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে সবচেয়ে বেশি শীতের প্রকোপ থাকে জানুয়ারিতে। জানুয়ারি চলে গিয়ে মধ্য ফেব্রুয়ারিতেও দেশের ১৯ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সারাদেশেই কম বেশি শীতের দাপট রয়েছে। দিনের মধ্যভাবে কম শীত অনুভূত হলেও সকাল ও রাতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি মাস জুড়েই নাকি এমন অবস্থা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ সারা দেশেই রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এতে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলার পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
দেশে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও চুয়াডাঙ্গায়, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে। কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার অর্থ হচ্ছে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলী, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী, নওগাঁর বদলগাছী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, দিনাজপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গায়।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের রংপুরে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকলেও সেসব এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল তাদের বুলেটিনে (বার্তা) উল্লেখ করেছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, শনিবারের পর শৈত্যপ্রবাহ আর থাকবে না। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। তবে দু–একটা জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, এবার ডিসেম্বরে সারা দেশেই শীতের তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। কিন্তু জানুয়ারির শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এ ছাড়া গত মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট চার দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমনকি দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় একসঙ্গেও শৈত্যপ্রবাহ ছিল কয়েক দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।