জুমবাংলা ডেস্ক : কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন যশোরের চাষিরা। কচুর লতি চাষে তুলনামূলক কম শ্রম ও অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন কচুর লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। কচুর লতি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ছাই। আর তাতে এর ফলনও হচ্ছে অনেক বেশি। এ অঞ্চলের চাষ হওয়া কচুর লতি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
যশোরের কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে যশোর জেলার ৮ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়েছে। আর এসব সবজির মধ্যে কচুর লতি চাষ হয়েছে প্রায় ৮৭৫ হেক্টর জমিতে।
যশোরের জহুরপুর গ্রামের কৃষক বজলুর বলেন, চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কচুর লতি চাষ করছেন তিনি। কচুরলতি চাষে তার খরচ হয়েছে আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা। আর লাভ হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তাছাড়াও আরও যে পরিমাণ কচুর মূল রয়েছে, সেখান থেকে ২০-৩০ হাজার টাকার লতি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ঐ এলাকার আরেক কৃষক আব্দার হোসেন জানান, এখানকার উৎপাদিত কচুর লতি খেতে বেশ সুস্বাদু। তাই এখানকার লতির চাহিদা রয়েছে বেশ। আর এর ফলে ভাল দামও পাচ্ছেন চাষিরা। আগে তিনি তার জমিতে ধান চাষ করতেন। পরে কৃষি অফিসারের পরামর্শে কচুর লতি চাষ করেন তিনি। লাভও পেয়েছিলেন বেশ ভাল। আর তখন থেকেই কচুর লতি চাষ করে যাচ্ছি।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুশান্ত কুমার জানান, এসব অঞ্চলে ধানের চেয়ে সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার কৃষক শীতকালীন সবজির পাশাপাশি কম খরচে বেশি লাভের আশায় কচুর লতি চাষে থাকেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।