জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর বরাতি সেতুর দুই দিকে শত শত মানুষ সারি হয়ে দাঁড়িয়ে। সবার চোখ নদীর জলের দিকে। উজানের ঢলে সঙ্গে ভেসে আসা জলের ওপর জমাট বাঁধা কচুরিপানা ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে লোকজন নদী পারাপার হচ্ছে দেখতে। কচুরিপানার ওপর শিশু কিশোরেরা ফুটবল খেলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উৎসুক লোকজনের ভিড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের যমুনেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত পরিত্যক্ত বরাতি সেতুতে হাজারো মানুষের ভিড়। ভিড় ঠেলে নদীতে তাকাতেই দেখা যায় লোকজন কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেটে নদী পার হচ্ছে। শিশু-কিশোররা খেলছে ফুটবল। অনেকে মাঝ নদীতে কচুরিপানার ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করেছে, কেউ কেউ আবার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করছে। সেতু ও সড়কের ওপর লোকজনের পাশাপাশি রিকশা ভ্যান-মোটরবাইকেরও সারি দেখা যায়।
জানা যায়, তিন দিন আগে উজানের ঢলে ভেসে আসা কচুরিপানা বরাতি সেতুর উত্তরপাশের ২০০ মিটার অংশে নদীর দুই তীরে জমাট বাঁধে। পানির স্রোতে নিচ দিয়ে বহমান থাকলেও কচুরিপানা গুলো আর নদীর ওই অংশ থেকে না সরায় স্থানীয় কিছু শিশু-কিশোর ফুটবল খেলে এবং কচুরিপানার ওপর দিয়ে পায়ে হেটে নদী পার হয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন তা দেখতে ছুটে আসে। হাজারো মানুষের ভিড় দেখে অনেক পথচারীও সেখানে দাঁড়িয়ে জমাট বাঁধা কচুরিপানার ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।
তারাগঞ্জের ইকরচালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন বলেন, কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেটে নদীর পার হচ্ছে এমন ঘটনা শুনে আমি নিজেও এখানে এসেছি। নদীর প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় কচুরিপানা জমাট বাঁধায় লোকজন তার ওপর দিয়ে হেটে নদী পারপার হচ্ছে, ছেলের দল ফুটবল খেলছে। তা দেখতে হাজারও মানুষ নদীর তীরে ও সেতুর ওপরে ভিড় করছে। কিছু লোককে কচুরিপানার বাঁধা জমাট ভেঙে দেওয়ার জন্য লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নগরীর হাজির হাট এলাকা থেকে আসা সামাদ বলেন, আমরা ফেসবুকে দেখে তিনটি ভ্যানে ৩০জন এসেছি। এটা বিরল ঘটনা। এর আগে ভাসমান কচুরিপানার ওপর দিয়ে হেটে নদীপার হতে দেখিনি। তাই আজ দেখতে আসলাম। তারাগঞ্জ সদরের তারেক মোহাম্মদ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারাগঞ্জ যাওয়ার সময় দেখি হাজার মানুষের জটলা। তাই রিকশা থামিয়ে এগিয়ে এলাম। নদীর ওপর ভাসমান কচুরিপানার ওপর মানুষ পায়ে হেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দুর্দান্ত এক্সপ্রেশন দিয়ে উদ্দাম ড্যান্স দিয়ে ঝড় তুললেন মুসকান বেবি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে গিয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লোকজন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নদীর ওই এলাকায় কচুরিপানা অপসারণে কাজ চলছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ পাহারায় আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।