স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘসময় অফফর্মে থাকা বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেয়েই স্বরূপে জ্বলে উঠলেন। এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলছেন। তবে ব্যাট চালানোর পাশাপাশি কোহলি যেন আম্পায়িং শুরু করে দিয়েছেন, যা নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুটো ‘নো-বল’ কলে নিজেকে জড়িয়েছেন ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক। মেলবোর্নে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের বলকে সীমানা ছাড়া করেই আম্পায়ারকে ‘নো’ বলের ইঙ্গিত দেন কোহলি।
সেদিন তার এ আচরণে অসন্তুষ্ট পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচেও একই কাণ্ড করেছেন এ ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন। অ্যাডিলেডে ব্যাটিংয়ের সময় হাসান মাহমুদের একটি ডেলিভারিকে ‘নো’ ডাকার জন্য লেগ স্কয়ার আম্পায়ারের দিকে হাত উঁচিয়ে ইশারা করেন কোহলি।
আম্পায়ার ম্যারাইস এরাসমাস ‘নো’ সংকেত দিলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাসতে হাসতে কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন। এর পর কোহলি ও এরাসমাসের সঙ্গে কথা বলেন। কোহলির এমন আচরণ নিয়ে এ স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস। ওয়াকারের মতে, কোহলির ইঙ্গিতে আম্পায়াররা চাপ বোধ করেন।
তবে ওয়াকারের দাবির সঙ্গে একমত হতে পারেননি তার একসময়ের সতীর্থ ওয়াসিম আকরাম। এ সাবেক পেসারের মতে, এটা ব্যাটারদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ।
অ্যাডিলেডে কোহলির ‘নো’ বলের আবেদনের পর সাকিবের ছুটে যাওয়ার মুহূর্ত নিয়ে ওয়াকার বলেছেন, ‘কোহলিকে জড়িয়ে ধরে সাকিব বলছিল— তুমি তোমার ব্যাটিং করো, আম্পায়ারকে তাদের কাজ করতে দাও। সাকিব যা বলেছে, আমরাও এটিই বলেছি। আপনি আম্পায়ারকে কিছু বলা মানে তাকে চাপের মধ্যে রাখা। আর কোহলি তো বড় খেলোয়াড়। কখনো কখনো আম্পায়াররা তার কারণে চাপে থাকে।’
ওয়াকারের কথা দ্বিমত পোষণ করে ওয়াসিম বলেন, ‘আমার মনে হয়, যে কোনো ব্যাটারের ক্ষেত্রে এটিই স্বাভাবিক। যদি তারা কোনো ওয়াইড হতে দেখে, যে কোনোভাবে হোক আম্পায়ারকে সেটি বলেই। আমি জানি না এখনকার আইন কী বলে। বর্তমানের ক্রিকেটাররা সেটি আমাদের বলতে পারবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।