বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি। তাদের সেই ঘর টেকেনি। বর্তমানে দুজনই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন অপু বিশ্বাস। সেখানে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।
দেশের বাইরে গেলে ছেলের দেখভাল কে করে, এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস জানান, ‘আমি না থাকলে জয় ওর দাদা-দাদি, ফুফু ও বাবার সঙ্গে সময় কাটায়। ওই বাড়িতেই থাকে। আমাদের (শাকিব-অপু) কাছে সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যটাই প্রধান্য পায়। জয় জানে, তার বাবা-মা দু’জনেই ব্যস্ত। তাই কখনও আমি জয়কে স্কুলে পৌঁছে দিই, শাকিব নিয়ে আসে- এভাবেই চলছে।
নিজের শ্বশুরবাড়ির প্রসঙ্গে নায়িকা জানান, ‘আমরা শিল্পীরা খুব আবেগপ্রবণ। অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলি, যা পরে শুধরে নেওয়ার জায়গা থাকে না। আসলে যখন কথাগুলো বলেছিলাম, সে সময় তাদের প্রতি রাগ ছিল। আমি একটু অবসাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ। আমি ভাগ্যবান, তাদেরকে জীবনে পেয়েছি। আমার বাবা-মায়ের ঘাটতি তারাই পূরণ করছেন।’
শাকিব প্রসঙ্গে অপুর ভাষ্য, ‘শাকিব যদি আমার পাশে না থাকত, তাহলে এই অপু বিশ্বাস হতে পারতাম না। সহ-অভিনেতা হিসেবে তিনি আমাকে অভিনয়ের খুঁটিনাটিতে সাহায্য করেছেন। আমার ক্যারিয়ারের ৮০ শতাংশ কৃতিত্ব শাকিবের, বাকিটা আমি অর্জন করেছি। তাই শাকিবের প্রতি সেই সম্মান সারাজীবন থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন অপু বিশ্বাস। এরপর ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। সিনেমাটি বক্স অফিস কাঁপানো ব্যবসা করায় অপু বিশ্বাস রাতারাতি তারকা বনে যান।
দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে সিনেমায় কাজ করছেন ঢালিউড কুইন। একটা সময় ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ নায়িকা হিসেবে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করেছেন। মাঝে কিছুটা বিরতি দিয়ে এখন আবারও সিনেমায় নিয়মিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রযোজক হিসেবেও পথচলা শুরু করেছেন। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘অপু-জয় চলচ্চিত্র’-এর ব্যানারে তার প্রথম সিনেমা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘লাল শাড়ি’। সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।