আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চারজন আরোহীকে নিয়ে একটি উড়োজাহাজে ব্লুমফন্টেইন থেকে প্রিটোরিয়ায় যাচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক পাইলট। তবে মাটি থেকে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় বসে ককপিটে একজন অতিরিক্ত আরোহীকে দেখতে পান তিনি। যার ফলে তড়িঘড়ি করে উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন তিনি।
সেই আরোহী ছিল একটি বিষাক্ত গোখরা সাপ। কেপ কোবরা প্রজাতির এই সাপের কামড় মাত্র ৩০ মিনিটে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই সাপটি দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন পাইলট। তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হন তিনি।
পাইলট রুডলফ ইরাসমুস বিবিসিকে বলেন, ককপিটে বসে হঠাৎ করে নিজের পিঠে ঠাণ্ডা কিছু একটা অনুভব করেন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলেন পানির বোতলের ঢাকনা ঠিকমতো না লাগানোয় হয়তো তার গায়ে পানি পড়েছে। তবে সাথে সাথে নিচে তাকিয়ে দেখতে পান তার সিটের নিচে বসে আছে একটি সাপ।
উড়োজাহাজের যাত্রীদের এ ব্যাপারে জানাবেন কিনা তা ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখেন ইরাসমুস। সাপটি পেছনে চলে গেলে তা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে এমন চিন্তাও তার মাথায় খেলছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি তাদেরকে বলার সিদ্ধান্ত নেন।
শোনার পর যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল জানতে চাইলে ইরাসমুস বলেন, এক-দুই মুহূর্তের জন্য সবাই নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। উড়োজাহাজের ভেতরে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছিলো, যেন সবাই বরফ হয়ে গেছে।
পাইলটদের অনেক পরিস্থিতির জন্য প্রশিক্ষিত করা হলেও, অবশ্যই ককপিটে সাপের মোকাবেলা করা তার মধ্যে পড়ে না। আতঙ্কিত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়তে পারত বলে মনে করেন ইরাসমুস। উড়োজাহাজটি ওয়েলকম শহরে জরুরি অবতরণ করে বলে জানান তিনি।
সাপের উপস্থিতি সবাইকে হতবাক করলেও, এটি সম্পূর্ণ বিস্ময়কর ছিল না। ওরচেস্টার ফ্লাইং ক্লাবে কর্মরত দুই ব্যক্তি বলেন, যেখানে প্লেনটি প্রথম উড্ডয়ন করেছিল, সেখানে তারা আগে বিমানের নীচে আশ্রয় নেওয়া একটি সরীসৃপ দেখেছিলেন। তবে সেটিকে ধরার চেষ্টা করলেও সফল হননি তারা।
ইরাসমুস বলেন, তিনি যাত্রীদের সাথে বিমানে ওঠার আগে সাপটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেটিকে কোথাও দেখতে না পেয়ে তারা ধরে নেন সেটি অন্য কোথাও চলে গেছে। তবে জরুরি অবতরণের পর থেকে সাপটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
শাড়ি ছেড়ে স্বল্প পোশাকে উদ্দাম ড্যান্স দিয়ে ঝড় তুললো শিক্ষিকা
ইরাসমুসের সাহসিকতার জন্য তাকে একজন নায়ক হিসেবে অভিহিত করলেও সেটিকে অতিরঞ্জন বলছেন তিনি। ওই মুহূর্তে শান্ত থাকার জন্য যাত্রীদের প্রশংসাও করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।