কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল। তাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শান্তা পাল ভারতীয় জাল পরিচয়পত্র দেখিয়ে লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতায় সম্পত্তি কিনেছিলেন। দক্ষিণ কলকাতায় ওই সম্পত্তি কেনা হয়। তথ্যটি পুলিশ যাচাই করছে। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগও আনা হয় এই মডেলের বিরুদ্ধে।
এবার জানা গেল আটক শান্তা পালকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পশাপাশি তার স্বামীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৩০ জুলাই যাদবপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শান্তা পালের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের ভোটার আইডি ও আধার কার্ড। জানা গেছে, অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত শান্তা।
তবে অন্য একটি সংবাদ মাধ্যম বলছে, গত ২৮ জুলাই কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানার অন্তর্গত বিক্রমগড়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে শান্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার জানান, ২০২৩ সাল থেকে শান্তা যাদবপুরের বিজয়গড় এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে বসবাস করছিলেন। তার কাছে থাকা ভারতীয় আধার ও ভোটার কার্ড আসল না নকল তা যাচাইয়ের কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন কোন নথি দেখিয়ে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং রেশন কার্ডের সত্যতা যাচাইয়ের অনুরোধ পাঠানো হয়েছে।’
সঞ্চিত টাকার ৮০% পর্যন্ত ঋণ সুবিধা, পূবালী ব্যাংকের বিশেষ সঞ্চয় পরিকল্পনা!
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি শান্তা ঠাকুরপুরে পুলিশ স্টেশনে একটি জালিয়াতির মামলা করেন। সেখানেও তিনি ভিন্ন ঠিকানা দেন। তদন্তকারীদের মতে, তিনি বিভিন্ন সময় ঠিকানা পরিবর্তন করতেন এবং বিভিন্ন পরিচয়ে থাকতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।