জুমবাংলা ডেস্ক : নীতি সুদহার বৃদ্ধিতে আন্তঃব্যাংক কলমানি রেট বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার কলমানি মার্কেটে গড়ে ৭.২৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে, যা ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ উঠেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের কলমানি রেট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বুধবার মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় নীতিগত সুদহার ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশে উন্নীত করে। আর গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকঋণের সুদহারও বৃদ্ধি করে। অক্টোবরের জন্য এতদিন ব্যাংকঋণের সুদহার ছিল ১০.২০ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার তা আরও দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১০.৭০ শতাংশ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি বিবৃতিতে সুদের হার করিডর চালু করেছে, যা আন্তঃব্যাংক কলমানি রেটকে নীতিগত হারের কাছাকাছি যেতে দেয়। কলমানি রেট হলো একটি জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ধার নিয়ে থাকে। জানা যায়, ব্যাংকগুলো সাধারণত সিআরআর এবং এসএলআর জন্য এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করে থাকে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়মিত সিআরআর এবং এসএলআর না রাখতে পারলে জরিমানা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কলমানি গড় হার ছিল ৫.৮০ শতাংশ, যেখানে সেই বছরের জুনে এটি ছিল ৪.৮৮ শতাংশ। ২০২২ সালের ২১ মার্চ থেকে কলমানি রেট তীব্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে।
ব্যাংকাররা বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের বর্ধিত ঋণ, আমদানি বিল নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি এবং ট্রেজারি বিলের হার বৃদ্ধি তারল্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ফলে ঋণের চাহিদাও তৈরি হয়েছে বলে তারা জানান। দেশের ব্যাংকিং খাতে নগদ অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ জুলাই শেষে ১১ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। তারল্য সংকট আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৯.৭৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কোভিড-কেন্দ্রিক হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধারের পরে তারল্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। হঠাৎ উচ্চ চাহিদার সঙ্গে তা মেলাতে না পারায় মুদ্রাবাজার চাপ অনুভব করতে শুরু করে। ডলার সংকট নিরসনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৬ মাসে রিজার্ভ থেকে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। ডলার বিক্রির কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ অক্টোবর ২১.০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।