জুমবাংলা ডেস্ক : কৃষি বান্ধব কৃষক বসুনিয়া। দীর্ঘদিন থেকে অন্যের জমি বছর চুক্তি ভিত্তিক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি ইতিপূর্বে জমিতে বাদাম, হলুদ, আদাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল লাগিয়ে আশানুরম্নপ ফসল উৎপাদন করেছেন।
কৃষক বসনিয়া এর বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রহমতচর গ্রামে। বর্তমানে তিনি অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় চুক্তি ভিত্তিক জমিতে ওল চাষ করেছেন। ওল কচুর ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবারে জেলায় ৩৬ টি ওল কচুর প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ২০ শতাংশ জমির প্রদর্শণীর বিপরীতে কৃষকের মাঝে ইউরিয়া ১২ কেজি, (টিএসপি) ১২ কেজি, (এমওপি) ১৫ কেজি, বীজ/গুটি(বড় সাইজের) ৪শ পিচ ও নগদ ৮শ টাকাসহ আরো অন্যান্য উপকরন বিতরন করা হয়। পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের জগজীবন বস্নকের কেকোয়ান নবু মৌজার কৃষক মিজানুর রহমান একটি ওল কচুর প্রদর্শণী চাষ করেছেন। তিনি প্রদর্শণীর জন্য কৃষি অফিস থেকে কৃষি উপকরন পেয়ে চাষ করে আশানুরম্নপ ফলন পেয়েছেন।
ওই উপজেলার ওল চাষী মিজানুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় সংসারের যেমন এসেছে স্বচ্ছলতা, পাশাপাশি ওল চাষের প্রতি আগ্রহী করছি অন্য কৃষকদের। কৃষি জমির পাশাপাশি ওল সাধারণত বাড়ির উঠানে, কুয়ার পাশে কিংবা বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায়সহ যেকোনও স্থানে চাষ করা যায়।
তিনি আরো জানান, চৈত্র মাসে জমিতে ওলের বীজ রোপণ করা হয়। ওলের পূর্ণতা পেতে ছয়/সাত মাসের মতো সময় লাগে। সেই হিসেবে আমরা ভাদ্র/আশ্বিন মাসে ওল উত্তোলন করে থাকি। একেকটি ওল ৮ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওল অত্যন্ত সুস্বাদু। এই কারণে বাজারে ওলের চাহিদাও অনেক বেশি।
পীরগাছা উপজেলার জগজীবন বস্নকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওল চাষের তেমন খরচ নেই। বীজ ও গোবর সার মিলিয়ে খরচ হয় সর্ব্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে লাখ টাকারও বেশি মুনাফা করা যায়।
উপজেলা উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরড়্গণ কর্মকর্তা এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, পতিত ও বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে মাদ্রাজি ওলচাষ করে লাভবান হওয়ায় চাষিদের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ চাষটি। বাজারে এর চাহিদা ভালো থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ওল একটি উপাদেয় তরকারি। এর পুষ্টিমানও অনেক। ওল চাষ শুরু করেছেন চাষিরা এবং তারা লাভবান হচ্ছেন।
রংপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক(উদ্যান) শামীমুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওল চাষ বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি বিভাগ থেকেও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।