জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীতে দাম কমেছে গরুর মাংসের। স্থানভেদে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে মিলছে মাংস। কোথাও কোথাও ৬০০ টাকার কমেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে বেশির ভাগ বাজারেই আগের মতো ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, দাম কিছুটা কমলেও গরুর মাংসের মানের ব্যাপারে তারা সন্দিহান। তারা বলছেন মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। গরুর মাংসের দাম কমার কারণ জানতে চাইলে রাজধানীর হাজারীবাগে মাংস বিক্রেতা শফি উদ্দিন দুলাল বলেন, বিভিন্ন খামারে গরুর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাই অনেক খামারী কম দামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। যে কারণে বাজারে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম।
এদিকে, পাইকারি কোম্পানিগুলোর চিনির সরবরাহ না করার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে খুচরা পর্যায়ে চিনি বিক্রি করতে পারছেন না সাধারণ বিক্রেতারা। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে গরুর মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমছে।
গত এক সপ্তাহ তুলনায় এ সপ্তাহ বাজারে প্যাকেটজাত চিনি কমই পাওয়া যাচ্ছে এবং খোলা চিনির যা পাওয়া যাচ্ছে তার দামও কিছুটা বাড়তি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকার কারণে সবজির দাম কমতির দিকে। আজ রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০ ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মুলা ৪০টাকা, চিচিঙ্গা ৫০, ধুন্দল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম ১২০টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মিনিকেট চাল ৬৮ টাকা, নাজিরশাল ৭২, আটাশ ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন লিটার ১৬৯ টাকা, ফার্মের মুরগি ১৮০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক কেজি পাঙ্গাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০টাকা, চাষের কই ২০০টাকা, পাবদা ৪০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় রুই ৪০০টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা, বোয়াল ৬০০টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা এবং এক কেজি উপরের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০টাকায়।
রাজধানীর হাজারীবাগে সবজি বিক্রেতা রাশেদ মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকার কারণে দাম কমেছে। ক্রেতারা ও তাদের চাহিদা মতো সংগ্রহ করছে।
রাজধানীর ধানমন্ডির সালেক গার্ডেন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাকিব হাসান বলেন, সবজির দাম কমলেও মাছ, মাংস ও মুদি পণ্যের দাম এখনো বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।