বলিউডের ‘এভারগ্রিন’ অভিনেত্রী রেখা এবং দক্ষিণের সুপারস্টার কমল হাসান এই দুই তারকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঘিরে এক সময় তোলপাড় হয়েছিল চলচ্চিত্রপাড়া। সেই পুরনো ঘটনার পুনরুত্থান ঘটেছে সম্প্রতি, এক সাংবাদিকের স্মৃতিচারণে।
ঘটনাটি ১৯৭৯ সালের। জায়গা চেন্নাইয়ের অভিজাত হোটেল চোলা শেরাটন। সেদিন রাতের বর্ণনা উঠে এসেছে হোটেলের এক কর্মীর মুখে। তার দাবি, সেদিন হোটেলে গিয়ে দেখি হুলুস্থুল অবস্থা। রিসেপশনের মেয়েরা জানাল, রেখা আর কমল হাসান একসঙ্গে রেখার রুমে ছিলেন। হঠাৎ সেখানে হাজির হন কমলের স্ত্রী বাণী গণপতি এবং প্রকাশ্যে স্বামীকে ধমক দিতে শুরু করেন!
এই ঘটনার সূত্রপাত মিন্দুম কোকিলা ছবির শুটিং চলাকালীন। ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি শুটের সময় কমল হাসান ও রেখার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল বলে তৎকালীন ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ছড়ায়। এই সম্পর্কের কারণেই নাকি ছবিটি থেকে রেখাকে বাদ দেওয়া হয় এবং তার পরিবর্তে নেওয়া হয় মালয়ালম অভিনেত্রী দীপাকে (উন্নি মেরি)।
তবে এই বিতর্কে কখনোই মুখ খোলেননি কমল হাসান বা রেখা। তাই আজও এই গল্প সত্য না গুজব, তা রহস্যই রয়ে গেছে। তৎকালীন সময়ে কমল হাসান বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন বাণী গণপতির সঙ্গে। পরে সারিকার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। শোনা যায়, সারিকার গর্ভধারণের পর ১৯৮৮ সালে কমল-বাণীর বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং একই বছর সারিকাকে বিয়ে করেন কমল হাসান।
অন্যদিকে রেখার জীবনেও কম ছিল না বিতর্ক। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘সিলসিলা’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাদের সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। যদিও অমিতাভ তখন বিবাহিত ছিলেন জয়া বচ্চনের সঙ্গে, তবে রেখার উপস্থিতি তাঁদের দাম্পত্যে এক রহস্যময় ছায়া হয়ে ছিল দীর্ঘদিন।
এমনকি ২০১৫ সালে ‘কারনামা’ ছবির পরিচালক রঞ্জিত দাবি করেন, রেখার অনুরোধে শুটিং শিডিউল পর্যন্ত বদলাতে হয়েছিল, যাতে তিনি সন্ধ্যায় অমিতাভের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।
পরে রেখা বিয়ে করেন শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে। তবে সেই বিয়ের পরিণতি হয় করুণ মুকেশ আত্মহত্যা করেন, আর রেখা হয়ে যান একা। কমল হাসান-রেখা-অমিতাভের জীবনের এই আড়ালে থাকা গল্পগুলো যেন বাস্তবেই সিনেমার কাহিনিকে হার মানায়। তবু আজও প্রশ্ন থেকেই যায় সবই কি কল্পনা, নাকি সত্যের ছায়া?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।