জুমবাংলা ডেস্ক : পাসপোর্ট কেবল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি নয়, এটি আমাদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি একটি ডকুমেন্ট। বিদেশে পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে একটি পাসপোর্ট বা বৈধ ছাড়পত্র থাকা জরুরি। আর পাসপোর্ট নিয়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মজাদার তথ্য এবার জেনে নেওয়া যাক আজ এই প্রতিবেদনে। আচ্ছা বলুন তো দেখি বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী? নাম শুনলেই অবাক হয়ে যাবেন।
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় পৃথিবীর সব দেশগুলিকে তাদের পাসপোর্টের শক্তি অনুযায়ী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো এই তালিকায় আমেরিকা বা যুক্তরাজ্যের নামই নেই।
একটা সময় ছিল যখন আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশের পাসপোর্টকে সবচেয়ে শক্তিশালী মনে করা হতো। কিন্তু এখন সেই যুগ শেষ। সারা বিশ্বের পাসপোর্টের সর্বশেষ র্যাংকিংয়ের শীর্ষে রয়েছে কোন দেশ জানেন?
হেনরি পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২৪ অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরই হলো সেই দেশ যে দেশের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী। ২০২৪ সালের সূচক অনুসারে, সিঙ্গাপুর পাসপোর্ট তার ধারকদের মোট ১৯৫টি দেশে ভিসা বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দেয়।
আর এই একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই দেশের পাসপোর্টকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট করে তুলেছে।
অন্যদিকে, তালিকায় ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও স্পেন যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই দেশগুলোর পাসপোর্ট ধারকরা মোট ১৯২টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পান।
এদিকে, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, এই আটটি দেশ শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কারণ এই দেশের নাগরিকরা এই দেশগুলোর পাসপোর্ট নিয়ে সহজেই ১৯১টি গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
এই তালিকার ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক প্রভাবের জন্য বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের স্বাধীনতা দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া দেশটি ক্রমশ তার গুরুত্ব বাড়াচ্ছে।
বেলজিয়াম, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন এই পাঁচ দেশ তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এই দেশগুলোর পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে মানুষ মোট ১৯০টি জায়গায় ভ্রমণ করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং অনুকূল কূটনৈতিক নীতির কারণে এই দুই দেশ তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করে নিয়েছে।
গ্রিস এবং পোল্যান্ড উভয় দেশই পাসপোর্টের শক্তির নিরিখে এই তালিকায় রয়েছে। এই দুই দেশ তাদের নাগরিকদের গন্তব্যগুলোতে ব্যাপক সুবিধা ও ছাড় দেওয়ার জন্য এই দেশগুলো এই বিশেষ তালিকাভুক্ত হওয়ার সুবিধা পাচ্ছে।
উত্তর আমেরিকার শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে কানাডা। যদিও চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি এবং মাল্টা ইউরোপের আধিপত্যের কারণেই এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ব্যাপক কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের স্বাধীনতায় একটি প্রধান শক্তি হিসেবে রয়ে গেছে এই তালিকায়।
এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৮৫ দেশের সুবিধা): এই চারটি দেশ তালিকার নবম স্থান দখল করে আছে। র্যাংকিংয়ে এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকেই নির্দেশ করে।
আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া (১৮৪ দেশে যাওয়ার সুবিধা): এই চারটি ইউরোপীয় দেশ এই তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।