লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাথায় চুল গজানোর পরিবর্তে জিহ্বায় চুল গজিয়েছে। এমনটা কখনও হতে দেখেছেন? চিকিৎসা শাস্ত্রে অদ্ভূত এ রোগটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক হেয়ারি টাং’।
চিকিৎসকরা যেকোনো রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রথমেই রোগীর চোখ কিংবা জিহ্বা দেখেন। আর জিহ্বা দেখতে গিয়ে যদি দেখে সেখানে চুল গজিয়েছে তাহলে বিষয়টি কেমন হবে একবার ভাবুন তো!
এমনই এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে জাপানে। মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত এক বৃদ্ধার জীবনে ঘটেছে এমন ঘটনা। ১৪ মাস ধরে তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
ক্যানসার নিরাময়ে কেমো থেরাপি চিকিৎসা নিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। কেমোথেরাপির খারাপ প্রভাব দূর করার জন্য তাকে ‘মিনোসাইক্লিন’ গোত্রের একটি অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
‘ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল কেস রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, এই অ্যান্টি বায়োটিকের উল্টো প্রতিক্রিয়াতেই ‘ব্ল্যাক হেয়ারি টাং’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর জিহ্বার চার স্তরের প্যাপিলা কমতে শুরু করে। আর প্যাপিলা হালকা গোলাপি থেকে হতে শুরু করে কালো বর্ণের। যা দেখে মনে হয়, জিবে চুল গজিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরল এ রোগ সহজে সবার হয় না। তবে এ রোগে আক্রান্ত হলে বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। কোনো ওষুধের প্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বন্ধ করে দিলেই ৮ সপ্তাহের মধ্যে জিহ্বা আগের মতো সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।