Advertisement
স্মার্টফোন কেনার সময় অনেকেই ব্র্যান্ড, ফিচার ও দামের পাশাপাশি রঙের বিষয়েও সমান গুরুত্ব দেন। কেউ কালো, কেউ সাদা, আবার কেউ নীল বা গোল্ডেন রঙের ফোন পছন্দ করেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—ফোনের রঙ কি আসলেই তার টেকসই হওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে?
গবেষণা ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ফোনের রঙ মেকানিক্যাল টেকসইতায় বড় কোনো ভূমিকা রাখে না। তবে দাগ-ছোপ, আঙুলের ছাপ ও স্ক্র্যাচ লুকানো এবং ফোনকে দীর্ঘদিন নতুনের মতো দেখানোর ক্ষেত্রে রঙ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কোন রঙে দাগ-ছোপ কম দেখা যায়
- কালো, নীল বা ডার্ক গ্রে ফোন – গাঢ় রঙ হওয়ায় দাগ, আঙুলের ছাপ ও ছোটখাটো স্ক্র্যাচ সহজে বোঝা যায় না। ফলে দীর্ঘদিন ফোনটি নতুনের মতো লাগে।
- সাদা বা সিলভার ফোন – হালকা রঙের কারণে দ্রুত ময়লা ও স্ক্র্যাচ দৃশ্যমান হয়।
সূর্যালোক ও রঙ ফিকে হওয়ার প্রভাব
- গবেষণায় দেখা গেছে, গাঢ় রঙের ফোন দীর্ঘ সময় সূর্যের আলোয় থাকলে সামান্য ফিকে হতে পারে।
- তবে বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাতারা প্রিমিয়াম পেইন্ট ও কোটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন, যাতে রঙ সহজে নষ্ট না হয়।
- হালকা রঙের ফোনে ফেডিং সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা
- কালো/ডার্ক ফোন – স্টাইলিশ লুক, দাগ কম দেখা যায়, তবে ধুলা সহজে ধরা পড়ে।
- সাদা/সিলভার ফোন – স্মার্ট লুক দিলেও স্ক্র্যাচ ও ময়লা দ্রুত বোঝা যায়।
- গোল্ডেন/রঙিন ফোন – আভিজাত্য যোগ করে, তবে বেশি ব্যবহারে রঙ কিছুটা চটে যেতে পারে।
ফোনের টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে রঙ বড় ভূমিকা রাখে না। মূলত ফোনের বডি মেটেরিয়াল, গ্লাসের মান এবং প্রটেকশন কভারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কালো বা ডার্ক রঙের ফোন তুলনামূলকভাবে বেশি টেকসই মনে হয়, কারণ এতে দাগ-ছোপ ও স্ক্র্যাচ সহজে বোঝা যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।