বিনোদন ডেস্ক : সমাজকর্মী অতীন্দ্র চক্রবর্তীর দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই মানুষের মাঝে সাময়িক স্টার হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মন্ডল। একটা সময় রানাঘাটের স্টেশনে বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন তিনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যায় বহু মানুষের মাঝে। তৈরি হয় ঠুনকো সম্মানের প্রাচীরও।
যার জন্য এখন তিনি আর স্টেশনে বসে ভিক্ষাও করতে পারেন না। প্রতিমুহূর্তে নেটনাগরিকদের অধিকাংশের মাঝে কটাক্ষের শিকারও হতে হয় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাময়িক জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে তিনি আবারো ফিরে এসেছেন তার পুরনো জায়গাতেই।
বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রিয়েটরদের কাছে রানু মন্ডল একজন কমেডি কনটেন্ট হয়ে উঠেছেন। তাকে নিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য প্রায়ই বহুজন পৌঁছে যান রানু মন্ডলের রানাঘাটের বাড়িতে। সেখানেই তার অদ্ভুত কান্ডকারখানা গুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করে দেন তারা, যা ভাইরাল হয় নিমেষে।
এই ভিডিওগুলির সূত্র ধরেই নেটনাগরিকদের একাংশের মাঝে থেকে থেকেই তুমুল কটাক্ষের শিকার হন রানু মন্ডল। তবে এর প্রতিবাদও জানান বহু নেটিজেন। কারণ অনেকের মতে, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে কখনোই এইভাবে সকলের সামনে অপদস্ত করা উচিৎ নয়।
সম্প্রতি রানু মন্ডলের একটি ইনস্টারিল ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। সেটি শেয়ার করে নেওয়া হয়েছে ‘হাসে দা সামান’ নামের একটি অফিসিয়াল কমেডি পেজ থেকেই। এই মুহূর্তে রানু মন্ডলের সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখার পর থেকে রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে গোটা নেটদুনিয়ায়। সাম্প্রতিক ভিডিওতে আবারো তাকে বিয়ের কনেবউয়ের সাজে দেখা গিয়েছে। বেনারসি, মুকুট, গয়না সবটাই ছিল তার পরনে। আর এই বেসেই বাদামবাবুর গান ধরেছিলেন তিনি। কাঁচা বাদামের বদলে গাইলেন ‘বাসি বাদাম’।
বলাই বাহুল্য, তার সেই গান শুনে হাসি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না নেটজনতার। সম্ভবত আবারো কোন এক ইউটিউবার বা ভ্লগার বাড়িতে গিয়ে তাকে এমন সাজিয়েই বানিয়েছেন ভিডিও। এই মুহূর্তে ‘বাসি বাদাম’এর সূত্র ধরেই নেটমহলে আবারো হাসির খোরাক রানাঘাটের রানু মন্ডল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।