জুমবাংলা ডেস্ক : এবার কোরবানির পশুর হাটে আলোচনায় রয়েছে ‘ফেনীর রাজা’। সবচেয়ে বড় এ গরুটি কাঁপাবে পশুর হাট। এর দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট। গরুটির ওজন সাড়ে ১৮ মণ। দাম হাঁকানো হয়েছে আট লাখ টাকা।
কালো আর সাদা-কালো রঙের গরুটির মালিকের নাম মামুনুল হক খোকন। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়িতেই রয়েছে গরুর খামার। আর সেখানেই দেখা মেলে ১৮ মণের এ গরুটির। মামুনুলের আরো চারটি গরু রয়েছে।
খামারি মামুনুল হক বলেন, ‘ফেনীর রাজা’ খুব শান্ত স্বভাবের গরু। তার কোনো রাগ নেই। কারো দিকে তেড়েও আসে না। আমি দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ছিলাম। দেশে ফিরে শখের বশে ‘হক ডেইরি ফার্ম’ গড়ে তুলেছি। পাঁচ বছর ধরে গরুর খামার করছি। তিন বছর আগে বাহামা জাতের বলদটি লালন-পালন শুরু করি। একই সময় দেশীয় জাতের কয়েকটি গরু কিনে লালন-পালন শুরু করি। ‘ফেনীর রাজা’র দাম হাঁকানো হয়েছে আট লাখ টাকা।
তিনি বলেন, প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় ১০ কেজি করে খাবার খায় গরুটি। এর মধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এছাড়া মাঝে মধ্যে ভাতও খায়। কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়েছি। এবারে কোরবানির বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
‘ফেনীর রাজা’কে দেখতে প্রতিদিনই লোকজন খামারে ভিড় করছেন। গরু দেখতে আসা সিলোনীয়া হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে এসেছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, উপজেলায় এত বড় গরু আর নেই।
সিংগারার দাম ১ হাজার টাকা, প্রিয়াঙ্কা বললেন ডলার কামানোর জন্য রেস্টুরেন্ট দিইনি
গরু দেখতে আসা জহির উদ্দিন পলাশ ও মাসেক এলাহি বলেন, ‘ফেনীর রাজা’ নাম শুনে অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছি। এখানে এসে উৎসুক আরো অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হলো। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবু খামারিরা গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।