লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঈদে বেড়ে যায় মাংস খাওয়া প্রবণতা। অতিরিক্ত মাংস খেয়ে ফেলেন বেশিরভাগ মানুষ। ফলে দেখা দেয় হজমজনিত সমস্যা, বমি ভাব, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা। অতিরিক্ত মাংস খেলে তা হজম করতে শরীরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন অ্যাসিডিটি দূর করার ঘরোয়া কিছু কার্যকর উপায় জেনে নেওয়া যাক-
শসা ও তরমুজ: শসা এবং তরমুজ শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীর অতিরিক্ত গ্যাস কমায়। অ্যাসিডিটি হলে শসা কেটে লবণ ছাড়া খেতে পারেন অথবা তরমুজের জুস তৈরি করেও পান করা যায়।
তুলসি পাতা: তুলসি পাতা হজমে সহায়ক এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে খুবই কার্যকর। অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিলে ২-৩টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসির চা বানিয়ে দিনে ১-২ বার পান করুন।
লেবু পানি: লেবুর রস অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে, যদিও এটি দেখতে অ্যাসিডিক তবে পাকস্থলীতে এটি আলকালী তৈরি করে। গরম পানিতে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে সকালে পান করুন।
কলা: পাকা কথা খেতে পারেন। কলা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। এটি পাকস্থলীর গ্যাস কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে একটি পাকা কলা খেয়ে নিন।
জিরা পানি: জিরা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে। ১ চা চামচ জিরা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সকালে খালি পেটে পান করুন।
আদা: আদা পেটের গ্যাস কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে। এটি বমিভাব কমায় এবং পাকস্থলীকে আরাম দেয়। আদা কুচি গরম পানিতে দিয়ে চা বানিয়ে পান করুন অথবা সামান্য আদার রস খেতে পারেন।
ঠান্ডা দুধ: ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটি প্রশমনে খুবই কার্যকর। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে। এক গ্লাস ঠান্ডা (কিন্তু বরফ ছাড়া) দুধ ধীরে ধীরে পান করুন। চাইলে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।