বিনোদন ডেস্ক : সালটা ২০০০। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বয়স তখন মাত্র ১৮। সে সময় ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর খেতাব জিতে বলিউডের এই সুন্দরী। সেই মুহূর্তটি ভারতের কাছে ছিলে গর্বের। তবে প্রিয়াঙ্কার ওই মুকুট জয় নাকি ছিল নেহাতই ‘কারচুপি’। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রিয়াঙ্কার সহ-প্রতিযোগী বার্বাডোজ লেইলানি ম্যাককনি।
২০০০ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা ছিল পক্ষপাতদুষ্ট, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বার্বাডোজ। সম্প্রতি ২০২২ সালের ‘মিস ইউএসএ’ প্রতিযোগিতাতেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতিযোগিতা জিতে নিয়েছিলেন টেক্সাসের আর বনি গ্যাব্রিয়েল। অভিযোগ, প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা আর স্পন্সররা গ্যাব্রিয়েলের ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন।
‘মিস ইউএসএ -২০২২’ প্রতিযোগিতায় দুর্নীতি নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন ২০০০ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।
এই দুই প্রতিযোগিতার তুলনা টেনে বার্বাডোজ বলেন, ‘আমি ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। যদিও পরে প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। জিতেছিলেন ‘মিস ইন্ডিয়া’। মনে রাখবেন তার আগের বছরও ওই প্রতিযোগিতা যিনি জিতেছিলেন, তিনিও ভারতীয় ছিলেন। কারণ প্রতিযোগিতার স্পন্সর ছিল ভারতীয় কেবল স্টেশন। তাই ২০২২ সালে ‘মিস ইউএসএ’ প্রতিযোগিতার মঞ্চে যে নাটক হয়েছে, সেই একই নাটক হয়েছিল ২০০০ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতাতেও।’
বার্বাডোজের কথায়, ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মোটেও সুন্দর নন।’
এখানেই শেষ নয়। বার্বাডোজের অভিযোগ, ‘২০০০ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় সবক্ষেত্রেই বেশি সুবিধা পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার গাউনটি বেশি ভালো করে বানানো হয়েছিল, তাকে বেশি ভালো ঘর দেওয়া হয়েছিল। তার খাবার, প্রচার সবক্ষেত্রেই বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কাকে যে ধরনের সুইমস্যুট পরতে দেওয়া হয়েছিল, অন্যদের সেই অনুমতি ছিল না।’
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.