লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান সময়ে কোরিয়ান গ্লাস স্কিনের প্রতি প্রায় সবার আগ্রহ। অনেকেই পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করেন গ্লাস স্কিন পেটে। আর কেউ বিভিন্ন পণ্য ইনেন। তবে চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসেই কম খরচে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন পাওয়া সম্ভব। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথলাইনে এমন কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন কী
যারা নিয়মিত রূপচর্চা করেন তাদের মাঝে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন বেশ জনপ্রিয়। এই ধারায় ত্বকের এমন এক বিশেষত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, যাতে ত্বক হয় মসৃণ আর ত্বকে আলোর প্রতিফলন ঘটে কাচের মতোই। এমন ত্বককেই বলা হয় ‘গ্লাস স্কিন’। ত্বকের এই সৌন্দর্য কিন্তু মেকআপের কারসাজি নয়। বরং ত্বকের যত্ন এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়।
জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে একেক ব্যক্তির ত্বক একেক রকম হয়। আর কোরিয়া বা চীনের মানুষদের জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদের ত্বকের ধরন আমাদের চেয়ে আলাদা। আবহাওয়াা প্রভাব তো আছেই। পুরোপুরি তাদের মতো ‘লুক’ পাওয়া সম্ভব নয় তবে তাদের মত সুন্দর ত্বক পেতে পারেন কোরিয়ান রূপচর্চার নিয়ম মেনে। গ্লাস স্কিন পেতে কীভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে তার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
ডাবল ক্লিনজিং: অয়েল বেজড ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন পাঁচ মিনিটের মত সময় নিয়ে। এরপর পানি না লাগিয়ে ত্বক মুছে ফেলতে হবে। এবার জেল বেজড কিংবা ফোম বেজড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
টোনিং: ত্বক আর্দ্র রাখবে টোনার বেছে নিতে হবে। তুলার বল অথবা বা হাতের আঙুল দিয়ে পাঁচ-সাতবার ত্বক মালিশ করুন বৃত্তাকার গতিতে। একই পদ্ধতিতে গোলাপজল কিংবা শসার রস ব্যবহার করলেও সেটা টোনারের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
এসেন্স প্রয়োগ: ত্বকের জন্য এসেন্স খুব উপকারী। অ্যালোভেরা জেল বা একই ধরনের অন্য কোনো সুদিং জেল কিংবা যেকোনো একটা এসেনশিয়াল অয়েল প্রয়োগ করতে পারেন এই ধাপে। ১৫-২০ মিনিট পর ভেজা রুমাল দিয়ে ত্বক মুছে নিন কিংবা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে সমপরিমাণ গ্লিসারিনও যোগ করে নিতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং: এবার ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, লোশন কিংবা সেরাম লাগিয়ে নিন। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই–সমৃদ্ধ পণ্য বেছে নেওয়া ভালো।
গ্লাস স্কিনের জন্য প্রতিদিন যেমন যত্ন লাগবে ঠিক তেমনি সপ্তাহে একদিন বাড়তি নজর দিতে হবে। ঘরের উপকরণ দিয়েই সেটা সম্ভব। সাপ্তাহিক যত্নের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ভাতের মাড়। প্যাক তৈরির জন্য ভাতের মাড় চুলায় জ্বাল দিয়ে নিন। খুব ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। চাইলে এবার সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। এই প্যাক লাগানোর পর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে মালিশ করে করে সরিয়ে ফেলুন শুকিয়ে যাওয়া প্যাক।
গ্লাস স্কিন পেতে ভাতের মাড়ের প্যাক সবচেয়ে ভালো। তবে চাইলে এর বদলে অ্যারারুট আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিনের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন একই পদ্ধতিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।